হঠাৎ আলু বীজের দাম উর্ধ্বমুখী হওয়ায় ওই প্রান্তিক চাষিদের স্বপ্ন ভেস্তে যেতে বসেছে। বর্তমান মূল্যে আড়াই কেজি চাল বিক্রি করে এক কেজি আলুর বীজও পাওয়া যাচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নীলফামারীর ৬টি উপজেলায় হাইব্রিড জাতের চালের মূল্য ৪৫ টাকা। আলুর চড়া মূল্যের কারণে প্রান্তিক চাষিরা আলু রোপণের জন্য জমি চাষ করে স্বপ্ন দেখেছিল লাভের মুখ দেখার জন্য। কিন্ত অতিরিক্ত দামের কারনে ভেঙ্গে যাচ্ছে সেই সপ্ন।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কেশবা গ্রামের আনছার আলী বলেন, ‘আমি দুই বিঘা চাষ করেছিলাম আলু রোপণের জন্য। কিন্তু আলু বীজের চড়া হওয়ার কারণে এখন সরিষা লাগানের কথা ভাবছি।
তিনি আরও বলেন, এক সময় সরকারই বলত ভাতের অভাব পূরণের জন্য বেশি বেশি আলু খান। এখন তো আলুর দাম নাগালের বাইরে। আর দশ থেকে পনের দিনের গজানো আলু বীজের দাম এক শত থেকে দুইশত টাকা। সবজির অভাব পূরণ করতে আলু কেনাই কঠিন।
কথা হয় মুক্তা হিমাগারের সত্ত্বাধিকারী মো. সৈয়দ আলী এর সাথে তিনি বলেন, আমার দুইটি হিমাগারের আলু সংরক্ষণ ক্যাপাসিটি ৩ লাখ ৪০ হাজার বস্তা (৫০কেজি)। এর মধ্যে প্রায় ২০ হাজার বস্তা ঘাটতি ছিল। এই পরিস্থিতি জেলার সকল হিমাগারে হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার লোকমান আলম বলেন, গত বছর আবহাওয়া প্রতিকুল থাকার কারণে আলুর বাম্পার ফলন হয়নি। আলু সংকটের কারণে বীজ আলুর দাম চড়া হয়েছে।