আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ মহামান্য আদালত ও সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্বেও বগুড়ার
আদমদীঘি উপজেলার জনসমাগম স্থানে ’ ব্রেস্ট ফিডিং কর্র্না#৩৯; স্থাপন করা হয়নি। গত ২ রা
এপ্রিল হাইকোর্ট কর্মস্থল,বিমানবন্দর, বাসষ্ট্যান্ড,রেলওয়ে ষ্টেশন,শপিং মলের মতো জনসমাগমস্থল
এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত,পরিচালিত ও ব্যবস্থাপনায় বিধিবদ্ধ,স্বায়ত্বশাসিত ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে
ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ছাড়া বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীকে কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে নিতে এবং সুস্থ-
সবল ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য ২০০৯ সালে দেশের সব কর্মক্ষেত্রে ( প্রতিষ্ঠানে) ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার
স্থাপনের নির্দেশনা দেন।
আজ (৩ মে) বুধবার সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে দেখা যায়
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মপ্লে´ে একটি ’ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার’ সেন্টার আছে। এ ছাড়া অন্য
কোন স্থানে এই কর্নার দেখা যায়নি। সান্তাহার ২০ শয্যা হাসপাতালেও এই ব্রেস্ট ফিডিং
কর্নার নেই। সান্তাহার রেলওয়ে হাসপাতালেও এটি নেই। সান্তাহার পৌরসভাও এটি নেই।
সান্তাহার পৌর শহরে রেল স্টেশনে একটি ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করার সময় স্থাপন করা হলেও
এখন সেটি দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে সান্তাহার জংসন স্টেশনের স্টেশন মাস্টার ( অতিরিক্ত দায়িত্বে) মোঃ হাবিবুর রহমান
জানান, এটি আমরা এই ষ্টেশনে স্থাপন করেছিলাম। কিছুদিন আগে ষ্টেশনের একটি প্রকল্পের
কাজের সময় সেটি সরিয়ে রাখা হয়েছে। সেটি আবার কোথাও স্থাপন করা হবে, সেই
নির্দেশনা পেলে আমরা পুনরায় তা স্থাপন করবো।
আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ফজলে রাব্বি বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে আমরা
আদমদীঘি উপজেলা হাসপাতালে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করেছি। এটি চলমান আছে।
আদমদীঘি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বরুন কুমার পাল বলেন, আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও
খরচে আমার অফিস সংলগ্নে একটি বেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করেছি। কিন্তু বর্তমানে তা
জীর্নসির্ন। বিষয়টি মনিটিরিং করা হবে উপজেলার অনান্য স্থানে।
আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টুকটুক তালুকদার বলেন, ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন
করা একটি সরকারি নির্দেশনা। এটি সংশ্লিষ্ট সবাইকে মেনে স্থাপন করতে হবে। এ ছাড়া এই
নির্দেশনা যেন বাস্তবায়ন হয়, সে বিষয়ে আমরা চেষ্টা অব্যহত থাকবে।
প্রসঙ্গত,২০১৯ সালে নিরাপদ পরিবেশ ও স্বাচ্ছন্দ্যে মায়ের বুকের দুধ পান করতে ৯ মাসের শিশু
উমাইয়া বিন সাদিকের পক্ষে তার মা ইশরাত হাসান এই রিট দায়ের করেন।