বগুড়ার আদমদীঘিতে কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগে কিশোরকে গ্রেপ্তার এবং কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের বিহিগ্রাম পশ্চিমপাড়ার বাবলু সরদারের মেয়ে(১৫) বিহিগ্রাম দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনির ছাত্রী। সে বিদ্যালয়ে ও প্রাইভেট পড়তে আসা-যাওয়ার সময় একই গ্রামের উচলবাড়িপাড়ার আব্দুস সালামের ছেলে জিহাদ হোসেন(১৭) ওই ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেওয়া সহ উত্যাক্ত করে আসছিল। ছাত্রীটি জিহাদের কু-প্রস্তাবে রাজি না হলে অপহরণ করে নিয়ে যাবে মর্মে ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিল। পরে ওই ছাত্রী ঘটনাটি তার মা-বাবাকে জানায়। পরে তার বাবা বিবাদী জিহাদের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জিহাদের বাবা-মাকে জানায়। কিন্তু তারা অভিযোগে কর্ণপাত না করে এড়িয়ে যায়। এরপর জিহাদ ছাত্রীটিকে উত্যাক্ত করা বাড়িয়ে দেয়। এর এক পর্যায়ে ১০মে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে প্রাইভেট পড়ার জন্য একই গ্রামের উত্তরপাড়ার জুয়েল মাস্টারের বাড়িতে যাচ্ছিল। সকাল পৌনে আটটার দিকে বিহিগ্রাম বাজার সংলগ্ন জনৈক আব্দুর রাজ্জাকের গভীর নলকুপের নিকট পৌঁছা মাত্র জিহাদ তার বাবা সালাম ও মা জিবননেছা মিলে ওই ছাত্রীর মুখে ওড়না পেঁচিয়ে টমটম(ইজিবাইক) গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

পরে ওই ছাত্রীর পরিবার বিবাদীদের উপর চাপ প্রয়োগ করে। এঅবস্থায় গত সোমবার (১৫মে) রাতে বিবাদী জিহাদ ওই ছাত্রীকে তাদের বাড়ির সামনে রেখে পালিয়ে যায়। এরপর শুক্রবার (১৯) মে দুপুর পৌনে দুইটার দিকে আমার মেয়ে বাতরুমে যায়, সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা বিবাদী জিহাদ ওই ছাত্রীর মুখে ওড়না বেধে ফের অপহরণ করে পালিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় বিহিগ্রাম এর পাশের বন্তোইর গ্রামের তিনমাথা নামক স্থানে পৌঁছলে এলাকাবাসী সন্দেহ বশতঃ তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে আদমদীঘি থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে যায় এবং ওই ছাত্রীকে উদ্ধার ও বিবাদী জিহাদকে গ্রেপ্তার করে। এব্যাপারে শনিবার আদমদীঘি থানায় জিহাদ ও তার বাবা আব্দুস সালাম,মা জীবননেছার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

থানার অফিসার ইনর্চাজ রেজাউল করিম রেজা মামলা দায়ের হবার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তার হওয়া আসামী জিহাদ হোসেনকে গত শনিবার দুপুরে বগুড়ার আদালতে পাঠানো হয়েছে।