আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় গো-খাদ্যের
চরম সংকট দেখা দিয়েছে। বেশি দামেও গরুর অন্যতম প্রধান খাবার খড়
পাওয়া যাচ্ছে না। অনান্য গো-খাদ্যের দামও চড়া। কোনো উপায় না পেয়ে
গরুুর মালিকেরা কচুরিপানা, বাঁশপাতা ও লতাপাতা সংগ্রহ করে
গবাদিপশুকে খাওয়াচ্ছেন। গো-খাদ্যের অগ্নিমূল্যে কৃষক ও গৃহস্থেরা
তাঁদের গবাদিপশু নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন। অনেকে কম দামে গরু-ছাগল
বিক্রি করে দিচ্ছেন।
সাম্পতিক সময়ে অতিবৃষ্ঠি কারণে কৃষকদের মজুত করা খড় সম্পূর্ণ নষ্ঠ
হয়ে যায়।
উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের দমদমা গ্রামের কৃষক বজলুর রহমান বলেন,ু
মজুদ করা গো- খাদ্য একটানা বৃষ্টিতে সম্পূর্ণ নষ্ঠ হয়ে গেছে। ১ পোন
(৮০টি) খড়ের দাম ৪০০ টাকা। ভুসির কেজি ৩০ টাকা, চিটাগুড়, ধানের
গুড়া,খুদ, খৈলসহ সব রকম গো-খাদ্যের দাম বেশ চড়া। এ বাজারে নিজেরাই
খেয়ে বাঁচতে পারছিনা, গরু- ছাগলকে কী খেতে দেব ? গরু-ছাগলগুলো
খাবারের অভাবে রোগা হয়ে মরতে বসেছে। অনেকে পানির দামে গরু-ছাগল
বিক্রি করে দিচ্ছে।
সান্তাহার পৌরসভার বশিপুর গ্রামের রুস্তম আলী বলেন,দ্বিগুন দামেও গো-
খাদ্য মিলছে না। বাজার থেকে গো-খাদ্য কিনতে না পারায় খামারিরা কম
দামে গরু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ২৭ সেপ্টম্বর সান্তাহার রাধাকান্ত হাটে
গিয়ে দেখ যায় অনেক কৃষক হাটে গো-খাদ্য কিনতে এসে তা না পেয়ে
ফিরে যাচ্ছে। যা আমদানি হয়েছিল তা চড়া দামে কেউ কেউ কিনে নিয়ে
গেছে।
সান্তাহার শড়রের রেলগেট চত্বরে খড় বেচা-কেনা স্থানে খড় বিক্রেতা
মোমিনুল ইসলাম বলেন, জেলার দুপচাচিয়া থেকে খড় কিনে এনে
সান্তাহারে বিক্রি করছেন। প্রতি ভ্যান খড় (চার থেকে পাঁচ পোন) ১ হাজার
থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম
থাকায় খড়ের দাম এবার বেশি বলে জানান তিনি।
আদমদীঘি উপজেলা প্রনীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আমিরুল ইসলাম গো-
খাদ্যের সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে উধর্ধতন কর্তৃপক্ষের
কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে বিনা মূল্যে গো-খাদ্য বিতরন করা
হবে। দুই-এক মাসের মধ্যে এ সংকট কেটে যাবে।