আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার আদমদীঘিতে অবৈধ বাহন হিসেবে
পরিচিত ট্রাক্টর উপজেলাজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কাঁচা-
পাকা সড়ক। এর ফলে সড়কের সংস্কারে ব্যয় হয় কয়েক লক্ষ টাকা। উপজেলা প্রকৌশল ও
প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কর্মকর্তারা জানান, ট্রাক্টর চলাচল না করলে সংস্কার ব্যয়
কমানো যেত। যদিও পুলিশ বলছে, অবৈধ ট্রাক্টরসহ অনান্য যানবাহনের বিরুদ্ধে
অভিযান শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানের
কৃষিজমির মাটি কেটে ও নদীর বালু উত্তোলন করে পরিবহন করা হয় ট্রাক্টরে। সড়ক
দাপিয়ে যখন এসব ট্রাক্টর চলাচল করে,তখন সড়কে শব্দদুষন শুরু হয়। তার প্রভাব পড়ে
শিশু, নারী ও বৃদ্ধ পথচারীদের উপর। নতুন সড়ক নষ্ট হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছে, শুস্ক মৌসুমে অবৈধভাবে মাটি কাটা শুরু হয়। স্থানীয়
কয়েকজন ব্যবসায়ী কৃষি জমিসহ বিভিন্ন স্থানের মাটি কিনে পরিবহন করেন
ট্রাক্টরে। মাটি ছাড়া সড়কে ইট,বালুও বহন করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন
নির্বাচনের সময় নানা অবৈধ যানবাহন ব্যবহার করা হয়। নাম প্রকাশ না করার
শর্তে কয়েকজন ট্রাক ড্ধসঢ়;্রাইভার বলেন, তেমন কেউ তো বাঁধা দেয় না। বাঁধা
দিলে ম্যানেজ করেই চলতে হয়।
ট্রাক্টরের বড় চাকায় সড়কের দ্রæত ক্ষতি হয়। এ গুলি চলাচল না করলে সংস্কার ব্যয় কমত
বলে জানান উপজেলা প্রকৌশলী রিপন কুমার সাহা। তিনি বলেন, এসব অবৈধ
যানবাহন চলাচল বন্ধে পুলিশের ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় প্রতি বছর সরকারের
অতিরিক্ত ব্যয় হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারী বলেন, জমির উপরিভাগের মাটি
কাটলে ফসল উৎপাদন কমে যায়। জমির প্রথম ছয় ইঞ্চি উর্বর মাটি। এই অংশ
বেকটে নিলে তিন থেকে চার বছর ফসল ফলানো কষ্টকর। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হবে কৃষক।
কিন্তু একটি চক্র কৃষকদের ভুল বুঝিয়ে ও টাকার লোভ দেখিয়ে মাটি কেটে নিয়ে
যাচ্ছে। এ চক্রকে দমাতে হবে।
আদমদীঘি থানার ওসি (তদন্ত) এ কে এম মঈন উদ্দীন জানান, এসব অবৈধ যান
বন্ধে আমরা প্রায়ই চেক পোষ্ট বসায়ে অভিযান চালাই। কিছু ট্রাক্টর ধরাও
হয়েছে। এসব অবৈধ যাবাহন বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে।