ঈদের ঠিক পূর্বে বগুড়ার আদমদীঘিতে তীব্র তাপদাহের পাশাপাশি চলছে বিদ্যুতের তীব্র লোডশেডিং। শিশু,বৃদ্ধ থেকে শুরু করে নানা বয়সী মানুষের প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। বিশেষ করে উপজেলার দিনমজুর ও কর্মজীবীরা মানুষেরা পাচ্ছে বেশি কষ্ট। উপজেলায় মৃদু,মাঝারি তাপপ্রবাহ শেষে এবার শুরু হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এই তাপদাহে আমের গুটি,ধানের শিষ ঝরে যাচ্ছে। সবজি ক্ষেতসহ সকল প্রকার চাষ ব্যহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জীব-বৈচিত্রোর ওপর। অসহনীয় গরমে শিশু,বয়স্কদের জ¦র-সর্দি-ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগের প্রকোপ বেড়েছে। অসহনীয় গরমে উপজেলার বিপনী বিতানগুলিতে চলছে ঈদের কেনাকাটা। গরমের কারনে অনেকেই সন্ধার পর কেনাকাটা করার জন্য বের হচ্ছে। উপজেলার হাসপাতালগুলিতে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।
পূর্ব ঘোষণা ছাড়া যখন তখন বিদ্যুৎ না থাকায় মাহে রমজানের এ সময়ে উপজেলাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফলে আদমদীঘি উপজেলার বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা চরম ক্ষুদ্ধ। বিশেষ করে দিনের বিভিন্ন সময়ে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার সাথে গত দুদিন থেকে শুরু হয়েছে রাতে বার বার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ঘটনা। প্রতিবার কমপক্ষে ১ ঘন্টা লোডশেডিং হয়। গতকাল ১৯ এপ্রিল বুধবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ৪ দফায় উপজেলার সান্তাহার শহরে বিদ্যুৎ চলে যায়। জানা গেছে, গত বুধবার দিনের বেলা দুবার এবং রাত সাড়ে ১০ টার দিকে একবার এবং রাত ১২ টার দিকে একবার বিদ্যুৎ চলে যায়। প্রতিবার ১ থেকে ২ ঘন্টার অধিক সময়ে লোড শেডিং হয়। ফলে আজ জেলাবাসীকে প্রায় নির্ঘৃুম কাটাতে হয়েছে। তা ছাড়া ভ্যাপসা গরমে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থী,ব্যবসায়ী, রোজাদারসহ সব শ্রেনীর মানুষ।
জানা গেছে, আদমদীঘি উপজেলায় ’ বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্প, রাজশাহী’ নামে একটির মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে পুরাতন বিদ্যুতের খাম্বা পরিবর্তন এবং বিদ্যুতের নতুন তার সংযোগ প্রদান করা হচ্ছে। এই কাজ করার সময় উপজেলার সব বিদ্যুতের ফিডার বন্ধ রাখতে হচ্ছে। ফলে এই কারনেও প্রতিদিন প্রায় ২ ঘন্টা ধরে বিদ্যূৎ থাকছে না।
সান্তাহার বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ, নেসকো অফিস সূত্র হতে প্রাপ্ত তথ্য মতে, সান্তাহার নেসেকার ৪৪ হাজার গ্রাহকের বিপরীতে সান্তাহার নেসকো কখনো ১৩ ,কখনো ১৫ আবার কভনো ১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছে। আর যেখানে বর্তমানে বিদ্যুতের গ্রীস্ম মৌসুমে চাহিদা ২২ মেগাওয়াট।
বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ, নেসকো, সান্তাহারের নির্বাহী প্রকৌশলী ( অতিঃ) মোঃ ওমর ফারুক জানান, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ কম পাওয়ায় লোড শেডিং হচ্ছে। তারাপরও রমজান মাসে যাতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়, সে জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।