আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় তাপমাত্রা অধিক বৃদ্ধিতে বিপর্যস্ত
হয়ে পড়েছে উপজেলাবাসী। প্রচন্ড গরমে মাঝে মাঝে বিদ্যুতের লোডশেডিং হওয়ায় মানুষের
জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। প্রচন্ড গরমের হাত থেকে বাঁচতে তাই এলাকার মানুষ এখন
তালপাখা কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাজারগুলিতে গিয়ে দেখা
যায়,তালপাখা বিক্রির হিড়িক পড়েছে। চাহিদা বাড়ায়, পাখার দামও বেড়েছে। বছরের এই
সময়টিতে পাখার চাহিদা থাকে। চৈত্র থেকে শুরু করে জ্যৈষ্ট মাস পর্যন্ত বিক্রির মৌসুম হলেও
আরো কয়েক মাস চলে এই পাখার বিক্রি।
সান্তাহার সোনার বাংলা বিপনী বিতানের পাইকারি তালপাখা বিক্রেতা ময়েন উদ্দীন জানান, হাত
পাখা বেশি বিক্রি হলেও লাভ হচ্ছে কম। পাখা তৈরি করতে রং,সুতা,বাঁশ,কঞ্চি প্রয়োজন হয়।
এসবের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় হাত পাখা তৈরিতে লাভ কম হচ্ছে। তালপাখা কাপড়ের তৈরি ও সুতার
তৈরিতেও পাওয়া যায়। পাখা কিনতে আসা স্কুল শিক্ষিকা খোরসেদা খানম জানান, মাঝে মাঝে
বিদ্যুতের সমস্যা হচ্ছে। তাই ৪টি তালপাখা কিনলাম। দাম একটু বেশি। ৪০ টাকা করে ৩টি
তালপাখা কিনলাম।
সান্তাহার জংসন ষ্টেশনের সড়কে ভ্রাম্যমান পাখা বিক্রতা আবুল হোসেন জানান, দু বছর প্রায়
করোনার কারনে ট্রেনে পাখা বিক্রি তেমন করতে পারিনি। বছরের এই সময়টিতে তালপাখা বিক্রি
হয় বেশি। আমরা কাছে ২০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকার তালপাখাও আছে। কিছু সময়
ট্রেনে কিছু সময় প্লার্টফর্মে তালপাখা বিক্রি করি। বর্তমানে ব্যবসা ভাল।
আদমদীঘি উপজেলার সদর ইউনিয়নের গৃহবধু সখিনা বেগম বলেন, প্রতিদিন ৫/৭ বার বিদ্যুৎ
চলে যায। বাড়িতে শিশু,বয়স্কদের নিয়ে বড়ই বিপদে আছি। বিদ্যুৎ চলে গেলে শিশুরা
কান্নকাটি করে। তখন পাখা ছাড়া উপায় থাকে না। হাত পাখা নাড়াতে নাড়াতে এক সময় হাত
ব্যাথা হয়ে যায়। তখন অপেক্ষায় থাকি,কখন বিদ্যুৎ আসবে ?