আদমদীঘিতে যেদিকে চোখ যায়, শুধু আমন ধানের সবুজের সমারোহ
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ শষ্য ভান্ডার খ্যাত বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায়
শেষ হয়েছে আমনের চারা রোপণের কাজ। উপজেলার সব অঞ্চলে ধান লাগানোর
শেষ করেছে কৃষকেরা। বর্তমানে পুরো মাঠ জুড়ে আমন ধানের সমারোহ।
যেদিকে চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ।গত সপ্তাহে বৃষ্টির পর ধানের
জমিতে পানির সংকট কেটে গেছে। উপজেলা কৃষি অফিস এ বছর
উপজেলায় ১২ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
করেছেন। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, চাষিরা আমন জন্য পুরোপুরি
প্রস্ততি নিয়ে ছিল। আবহাওয়া স্বাভাবিক বা অনুকুলে আসায় চাষিরা
কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছেন। কৃষক আর উপজেলা কৃষি অফিস
আশা করছে এবারে আমনের বাম্পার ফলণ হবে।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এবারে মোট ১২ হাজার
৪০০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা হাতে নেওয়া হয়েছে। অনেক
কৃষক আউশের আবাদ শেষ করে সেই জমিতে আমনের আবাদ করছে। কৃষি
অফিস বলছে, কৃষকরো আমন আবাদ শেষ করেছে। তারা আরও জানান,
আগষ্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত আমন ধান রোপণ শেষ করেছে ।
উপজেলার চাষিরা জানান, ইরি- বরো ধানের কাঙ্খিত নায্য দাম না পেলেও
আমন আবাদে গড়িমসি করা যাবে না। কারণ জমি ফেলে রেখে লাভ নেই। নায্য
দাম না ফেলেও ঘরে তো ধান থাকবে। আর ধান থাকলে পরিবারের সদস্যদের পেটে
অন্তত ভাত যাবে। ঘরে ধান থাকলেই কৃষকের সুখ। তা ছাড়া সেই জমি থেকে
খড়ও পাওয়া যাবে।
নশরৎপুরের কৃষক গোলাম রব্বানি জানান, জমি থেকে পাট কাটা শেষ
হয়েছে। সেই জমিতে হাইুব্রিড জাতের আমনের আবাদ করছি। আমনের
ধান কাটা হলে সেই জমিতে সরিষার আবাদ করবো। এ ভাবে একই জমিতে
বছরে ৩টি ফসল করে কৃষির মাধ্যমে আমরা সমৃদ্ধ হতে চাই। প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে আমরা সব্বোর্চ কৃষি উৎপাদন
অব্যহত রাখবো। কোন জমি আর ফেলে রাখা যাবে না। এতে কৃষকরা ভাল
থাক্েধসঢ়;ব । দেশ উন্নত হবে। এই প্রত্যাশায় আমরা কৃষির উন্নয়নে কাজ
করে যাচ্ছি।
উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের দমদমা গ্রামের চাষি মোবারক হোসেন
জানান, ৫ বিঘা মাটিতে আমন আবাদ করেছি।। আমরা কৃষক মানুষ, ধান
আবাদ করেই আমাদের চলতে হবে। বাব-দাদার পেশা সহজেই বদলানো যায় না।
একই রকম কথা বলেন নশরৎপুর ইউনিয়নের সোহেল রানা, আদমদীঘি
ইউনিয়নের গোলাম মোস্তফা, সান্তাহার ইউনিয়নের আলম খান।
উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারি বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে
থাকলে এই মৌসুমে ইরি-বোরোা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরুণ হবে বলে আমরা
আশা করছি।আমরা কৃষক ভাইদের সব সময় নানা রকম পরামর্শ, উপকরণ দিয়ে
সহায়তা দিয়ে আসছি। এতে কৃষকের যেমন আয় বাড়ছে তেমন দেশও
অর্থনৈতিক ভাবে মজবুত হচ্ছে। এবারে আমন আবাদ নিয়ে আমরা ও
কৃষকেরা আশাবাদি ভাল আবাদের।