বগুড়া আদমদীঘিতে মারুফ হোসেন(২৫) নামের এক সন্ত্রাসীর ধারালো অস্ত্রের উপুর্যপরি আঘাতে মিজানুর রহমান (৪৫) নামের এক ধান ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হয়েছেন ।
আশাংকাজনক অবস্থায় তাঁকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । গত রোববার রাত নয়’টার দিকে উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের দমদমা গ্রামে এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে । মিজানুর রহমান ওই গ্রামের মৃত হোসেন সরদারের ছেলে । সন্ত্রাসী মারুফ একই গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে । এ ঘটনায় গতকাল থেকে ওই গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে । ঘটনার পরই গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে সন্ত্রাসী মারুফ ।
গ্রামবাসি ও মিজানুরের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, একটি পুকুর নিয়ে মিজানুরের সাথে মারূফের পরিবারের বিবাদ চলছিল । রোববার রাতে ওই গ্রামের মাতবর ও সিনিয়র সাংবাদিক গোলাম আম্বিয়ার বাড়িতে বিবাদ নিরসনে শালিস বসে । সেখানে গ্রামের ইউপি সদস্যসহ অন্যান্য মাতবররা উপস্থিত ছিলেন । এক পর্যায়ে বিবাদের বিষয়টি নিরসন হলে উভয় পক্ষ মেনে বাড়ির উদ্যেশে রওনা দেয় ।
ধান ব্যবসায়ি মিজানুর গ্রামের দক্ষিনপাড়া মসজিদের নিকট পৌছামাত্র সেখানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসী মারুফ ধারালো অস্ত্র(চাইনিজ কুড়াল) দিয়ে মিজানুরের পিঠে উপুর্যপরী কোপাতে থাকে । গুরুতর আহত হয়ে মিজানুর সেখানে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মারুফ সেখান থেকে পালিয়ে যায় । পরে গ্রামবাসি মিজানুরকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি ক্লিনিকে ও পরে আশাংকাজনক অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয় ।
ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ও দমদমা গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম জানান, মিজানুরের আঘাত গুরুতর,তাঁর চিকিৎসা চলছে । ওই গ্রামে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মারুফ একজন চিহ্ণিত সন্ত্রাসী । এর আগেও সে একাধিকবার অনেকের ওপর একই ধরনের আক্রমন করেছে মারুফ । তাঁর অস্ত্রের আঘাতে একই গ্রামের সজল হোসেন নামের ব্যক্তি শারিরীক সমস্যা নিয়ে বেঁচে আছে ।
আদমদীঘি থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন,মারুফের বিরুদ্ধে একাধিক সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ রয়েছে,থানায় মামলা রয়েছে । এ ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়নি,তবে পুলিশ তাঁকে ধরতে অভিযান শুরু করেছে ।