বগুড়ার আদমদীঘির কৃষকেরা বোরো ধানের উৎপাদিত ফসলের বাম্পার ফলনে খুশি এবার। মাঠ থেকে ধান কাটা-মাড়াই শেষে উৎসবমুখর পরিবেশে গোলায় ধান ভরছেন কৃষকেরা। বোরো আবাদের উৎপাদিত ফসলের বাম্পার দাম ও ফলন আশানুরুপ হওয়ায় বেশ সন্তষ্ট উপজেলার কৃষকেরা।
সরজমিনে আজ (বুধবার) ২৪ মে, উপজেলার কয়েকটি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকেরা উৎপাদিত
বারো ধান হাট-বাজারে বিক্রির পাশাপাশি নিজের বাড়ি থেকেও ধান বিক্রি করছেন।উপজেলার
আদমদীঘির সুদিন, ছাতিয়ানগ্রামের বড় আখিরা, সান্তাহার ইউনিয়নের কলশা, প্রান্নাথপুর
গ্রামে কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছে। অনেকে জমির ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ শেষ করেছেন।
গ্রামের কৃষান-কৃষাণীরা ধান শুকানোর কাজ করছে। কোন কোন গ্রামে কৃষকেরা জমির কাটা
ধান দেশি যন্ত্রের দ্বারা মাড়াইয়ের কাজ করছে। মোট কথা প্রতিটি গ্রামে ধান মাড়াই, ধান
শুকনো,ধান বিক্রির কাজে কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছে। অনেক পাইকার কৃষকের উঠান থেকে
ধান ক্রয় করছে। প্রচন্ড তাপদাহ আর মাঝে মাঝে বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে ধান কাটা, ধান
ঘরে তোলা আর বাজারজাত করার কাজ।
আদমদীঘির কয়েকটি হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাট-বাজারে কাচা বা একটু ভেজা ধান ৯ শত ৫০
টাকা থেকে ১১ শত টাকা পর্যন্ত বোরো ধান বিক্রি হচ্ছে। শুকনো ধান ভেজা ধানের চেয়ে
১০০/২০০ টাকা মন বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ধান ভটভটি,মিনি ট্রাক
ও ভ্যানগাড়ি করে হাটে নিয়ে যাচ্ছে। আশানুরুপ দাম পেলেই বিক্রি করছেন খুচরা ও পাইকারদের
কাছে ধান। এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আদমদীঘি উপজেলায় ফসল ও ফলন ভাল হয়েছে। এ
বছর পানি ও শ্রমিক সংকট হয়নি।প্রচন্ড তাপদাহ হলেও কৃষক ধান কাটা মাড়াই করে সুধিধা
পেয়েছে। ধানের খড়ও এ বছর নষ্ট হয়নি।
উপজেলার সান্দিড়া গ্রামের কৃষক রমজান আলী, নশরৎপুরের কৃষক গোলাম রব্বানী,
ছাতয়িানগ্রামের কৃষক ইউনুশ মন্ডল বলেন, ধান আবাদে এ বছর আমরা খুশি। কিন্তু আমরা চাই
সরকার আরও সহজ পদ্ধতিতে কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনুক। ধান আবাদের জন্য সহজ পদ্ধতিতে
এবং স্বল্প সুদে ঋণ দান করুক। সার,কীটনাশক,পানির দাম কম দামে যেন কৃষকেরা পায় তার
ব্যবস্থা করুক। বাব-দাদাাদের ঐতিহ্য এই ধান আবাদকে করেই আমরা সুখি হতে চাই।
আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে উপজেলায় বোরো আবাদের
কাঙ্খিত লক্ষ্যে পুরুণ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় কৃষকদের বোরো আবাদ করতে কোন
অসুবিধা হয়নি। কৃষকরা এবার খুশি,আমরারও খুশি।