আদমদীঘির কৃষক অপেক্ষায় নতুন ধানের। মাঠে মাঠে সোনালী বর্ণের সমারোহ । কৃষান-
কৃষানীরা ব্যস্ত হয়ে পড়বে নতুন ধান তোলার আয়োজনে।
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার আদমদীঘির কৃষক অপক্ষোয় দিন গুনছে ঘরে নতুন ধান
তোলার। উপজেলার ধানের মাঠে এখন সোনলী বর্ণ ধারণ করা বোরো ধান। যেদিকে চোখ যায় শুধু
ধান আর ধান। আগামী সপ্তাহ থেকে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আসবে তাঁদের জীবনে। গোলা ভর্তি
নতুন ধান হবে, ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসব হবে। নতুন ধানের ধানে পুলি,পিঠা হবে। কৃষান-
কৃষানীরা ব্যস্ত হয়ে পড়বে নতুন ধান তোলার আয়োজনে। তাই এই নতুন ধানকে নিয়ে কৃষকের
মনে নানা স্বপ্ন। কৃষকরে ঘর আনন্দে ভরে উঠবে। তাই শুধু অপক্ষো,আর অপক্ষা নতুন দিনের,নতুন
উৎসবের।
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় এবার বোরো আবাদ ভাল হয়েছে। আবহাওয়াও ছিল অনুকুলে। উপজেলার
কৃষকেরা শেষ সময়ের পরিচর্চায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগামী সপ্তাহের দিকে নতুন ধান
কাটা-মাড়াই শুরূ হবে। কৃষাণ-কৃষাণীরা গোলা,খলা,আঙ্গিনা পরিস্কার করে নিচ্ছে। ধান
কাটতে শ্রমিক অনুসন্ধান করছে। ধান কাটার নতুন কাস্তে,বস্তা, বাড়িার আঙিনা তৈরিসহ
নানা প্রস্ততি চলছে কৃষকরে ঘরে ঘরে।
সরজমিনে আজ (মুক্রবার) উপজেলার কয়েকটি মাঠে গিয়ে দেখা যায়, অত্যন্ত ভাল বোরো আবাদ
হয়েছে।ধান ক্ষেতের মধ্যে পোতা কঞ্চির উপরে ফিঙ্গে, শালিক বসে আছে ধানের পোকা ধরার জন্য।
বাতানে ধানের গাছ দুলছে\ আবার কোন কনি কৃষক অধিক ধান পাআর ধান ক্ষেতে জৈব সার
প্রয়োগ করছে। উপজেলার অল্প কিছু এলাকায় বোরো আবাদে কারেন্ট পোকার আক্রমনের কথা
শোনা গেছে। উপজেলা কৃষি অফিস যদ্রি তা অস্বিকার করেছে।
সরকারের কৃষি বান্ধব কর্মসূচি, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতা, অনুকুল আবহাওয়া,
বিদ্যুতের পর্যাপ্ত, হাতের কাছে কৃষি উপকরণ প্রাপ্তি, সরকারের নানা সহযোগিগতা,কৃষকের
অক্লান্ত পরিশ্রম, আবাদ উপযোগী পরিবেশ ইত্যাদি বিবেচনায় আসন্ন মৌসুমে বোরো
ধানের বাম্বার ফলনের সম্বাবনা দেখা দিয়েছে।
উপজেলার সান্তাহার ই্ধসঢ়;উনিয়নের দমদমা গ্রামের কৃষক মোবারক হোসেন জানান, আগামী
সপ্তাহ থেকে নতুন বোরো ধান কাটা শুরু হবে। এবারে আবাদ ভাল হয়েছে। আমরা নতুন ধান
কাটা-মারা করার প্রস্ততি নিচ্ছি। কৃষককেরাও প্রস্তত।
আদমদীঘি কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান, চলতি ইরি-বারো আবাদে ১২ হাজার
৪০০ হেক্টর লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছ্ধেসঢ়;। আদমদীঘি উপজেলায় এবার বাম্পার বোরো আবাদ
হবে বলে আমরা আশাবাদি। এবারে আবহাওয়া অনুকুলে ছিল। আমরা ও কৃষকেরা খুশি।