আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ শীত মৌসুম শুরু হওয়ায় এবং নতুন
ধান ঘরে উঠায় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার গ্রামে গ্রামে শীতকালিন
পিঠা খাওয়ার ধুম পড়েছে।
আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শীত
মৌসুমে এই এলাকার মানুষ মেয়ে, জামাই নিয়ে আসার ব্যবস্থা করে।
তাদের পিঠা দ্বারা আপ্যায়ন এই এলাকার চিরাচারিত রীতি। নানা রকম
পিঠা তৈরী করে মেয়েরা অনেক রাত ধরে। কেউ পিঠার উপকরণ তৈরী করে,
কেউ কেউ পিঠা বানায়। এ্ধসঢ়;গুলি পিঠার মধ্যে পাটিসাপটা, ভাপা,
চিতই, রসপিঠা,দুধচিতই, ডিমচিতই, ইত্যাদি।‘ শীত মৌসুমে
পিঠা খাওয়া বাংলার চিরাচারিত সংস্কৃতির অংশ। শীতের সকালে গরম
গরম ভাপা পিঠা খাওয়ার স্বাদই আলাদা।
আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের দমদমা গ্রামের আলোকচিত্র
সাংবাদিক আলম খাঁন বলেন, বছরের এই সময়টাতে প্রায় গ্রামে
ওয়াজ-মাহফিল হয়। এই উপলক্ষে অনেক পরিবারেই আত্মীয় স্বজন আসে।
সেই সময় বাড়ি বাড়িতে পড়ে যায় পিঠা খাওয়ার ধুম। এবারও তার
ব্যাতিক্রম হয়নি।
আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের কলেজ ছাত্রী রেকশানা নাজনিন জানালো,
আমাদের এলাকায় বিজয় দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপি মেলা শুরু হয়েছে।
মেলায় প্রতিযোগিতামূলক পিঠা বানানোর আইটেম থাকায়
গ্রামের মহিলারা হরেক রকম পিঠা তৈরী করে স্টল দিয়েছে। অনেকেই সেই
স্টল থেকে পিঠা কিনে খাচ্ছে। সেরা পিঠা তৈরীকারির জন্য রয়েছে
পুরস্কার।
সান্তাহার ইউনিয়নের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গির আলম খান জানান, শীতকালে
পিঠার আয়োজন গ্রামীন জীবনের অন্যতম একটি অনুসঙ্গ। এবার
ধানের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকের হাতে টাকা থাকায় উৎসবের মাত্রা
আরও বেড়েছে।
এদিকে স্থানীয় বাজারে খোঁজ নিয়ে জনা যায়, শীতের পিঠার অন্যতম
উপকরণ খেজুরের গুড় ১০০ টাকা, পাটালি গুড় কেজি প্রতি ৮০ টাকা এবং
প্রতি লিটার গরুর দুধ ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সান্তাহার বাজারের
গুড় ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন. গত বছরের চেয়ে এ বছর গুড়ের দাম
বেশি,বিক্রিও বেশ ভালো। শীত মৌসুমে আমাদের ব্যবসা ভালো হয়।
সান্তাহার রেলগেটে নারিকেল বাজারে নারিকেল বিক্রিও বেড়ে গেছে।
সান্তাহার পৌর শহরেও এখন মোড়ে মোড়ে মৌসুমি পিঠা নানা
নামে, নানা দামে পাওয়া যাচ্ছে।