মো. রবিঊল ইসলাম (রবীন) আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ-
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার গোড়গ্রামের বাসিন্দা মোছাঃ
নিগার সুলতানা বিজলী পশু খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। নিজ
সন্তানদের সুসন্তান হিসেবে লেখাপড়া করিয়েছেন। একটি
গাভী থেকে হতে সব্বোর্চ দুধ উৎপাদনকারী খামারী হিসেবে
স¤œাননা স্মারক পেয়েছেন। প্রতিদিন ১০৭ লিটার গরুর দুধ
বিক্রি হয় তাঁর খামার থেকে। বর্তমানে তার খামারে ৮টি
উন্নতমানের গরু আছে। কোরবানীর জন্য গরু বিক্রি করেছেন
কয়েকটি। বেসরকারি সাহায্য সংস্থা ইউএনডিপি তাঁর
কর্মস্পৃহা দেখে একটি খামার ও শেড নির্মাণ করে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ কৃষক লীগ বগুড়া জেলা শাখার সহ আইন বিষয়ক
সম্পাদক তিনি। জড়িত আছেন হিউমান লিগাল এইড
সোসাইটি সংগঠনের সাথে। বিজলী উপজেলা ডেইরি
এসেসিয়শনের সাধারন সম্পাদক।
উপজেলা থেকে সামান্য দুরে বিজলীর বাড়ি। আধাপাকা ৩/৪ টি
ঘর। তার সাথে আছে গরু লালন পালন করার দুটি শেড। দুটি
শেডে ৪ টি বিশাল আকৃতির গরু আছে। ক্রেতারা প্রতিটি
গরু সাড়ে তিন লখ টাকা দিয়ে ক্রয়ের ইচ্ছা জানিয়েছেন।
বাড়ির এক পাশে আছে ৪২ জোড়া উন্নত কবুতর। বাড়ির পাশে
ইউএনডিপি কর্তৃক নির্মিত আরেকটি উন্নত গরুর
ফার্মের শেড আছে। সেখানে আছে ৪টি গরু। ৪/৫ জন
কর্মচারী আছে তার গরু লালন পালন করার জন্য। তিনি জানান.
সম্পন্ন প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে তিনি গরুর খাদ্য খাওয়ানোর
মাধ্যমে তিনি গরু লালন পালন করেন। গরুর খাদ্যর জন্য তিনি
নিজ বাড়ির পাশে উন্নত জাতের ঘাস লাগিয়েছেন।
একজন খামারি হিসেবে বিজলী গরু কেনা-বেচা করেন।
কোরবানীর বেশ কয়েকমাস আগেই তিনি বিভিন্ন ফার্ম বা
এলাকার হাট থেকে কম বয়সী কয়েকটি গরু কেনেন। সে
গরুগুলি উন্নত পদ্ধতিতে লালন পালন করে কোরবানির সময় তিনি
গরুগুলি বিক্রি করে দেন। তবে তার খামারে বিশাল আকৃতির
৪টি গাভী আছৈ। যা থেকে তিনি প্রতিদিন ১০৭ লিটার
মতো দুধ বিক্রি করেন । স্থানীয় হোটেল মালিক ক্রেতারা তার দুধ
কিনে নেন। প্রতি লিটার দুধ বর্তমানে ৭০ টাকা লিটারে
বিক্রি হয়। সেরা নারী খামারী হিসেবে তিনি উপজেলা প্রাণী
সম্মদ অধিদপ্তর থেকে ও বগুড়া জেলা থেকে মোট ৪ বার পুরস্কিত
হয়েছেন। অসুস্থ্য গরুর জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সেবা
পাচ্ছেন উপজেলা প্রাণী সম্মদ অফিস থেকে। বর্তমান তাঁর
খামারে মোট ৪২ জোড়া উন্নতজাতের কবুতর আছে। কবুতরও
কেনা-বেচা করেন তিনি।
এসব কাজে তাঁকে সাহায্য করেন তার স্বামী রহমান আলী
তালুকদার। তাঁর দুটি ছেলে এবার এসএসসি পরীক্ষায় পাশ
করেছেন।
মোছাঃ নিগার সুলতানা বিজলী বলেন, সরকারের প্রণোদনা
পেলে বা সহযোগিতা পেলে তার গরুর ফার্মটা আরো বড় করার
ইচ্ছা আছে। আর দেশের শ্রেষ্ঠ নারী উদ্দৌক্তা হিসেবে নিজেকে
গড়ে তোলাই কার লক্ষ্য।
উপজেলা প্রাণি সম্মদ অফিসার ডাঃ আমিরুল ইসলাম বলেন,
বিজলী ডেইরী ফার্মের স্বত্বাধিকারী নিগার সুলতানা বিজলী
অত্যন্ত পরিশ্রমী ও সফল নারী পশু খামারি। তার খামারের পশুর লালন পালন
বিষয়ে আমরা সব সময় পরমর্শ দিয়ে আসছি।
মোঃ রবিঊল ইসলাম (রবীন)
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি