আদমদীঘির প্রয়াত কমিশনার মাসুম স্মরণী সড়কে নান্দনিকতায় প্রকৃতি প্রেমীদের হাতছানি দিচ্ছে বর্ণিল কৃষ্ণচুড়া
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় প্রচন্ড তাপদাহেও চোখ জুড়ানো ও সাথে প্রশান্তি নিয়ে এসেছে অগ্নি রাঙা কৃষ্ণচুড়া। কৃষ্ণচুড়া গ্রীস্মের একটি অতি পরিচিত ফুল। গ্রীস্মকালের অনেক ফুলের মধ্যে চিরল চিরল সবুজ পাতার ঝাঁকড়া গাছে ফোটা রক্তবর্ন ফুল,নাম তার কৃষ্ণচুড়া। কেউ কেউ কৃষ্ণচুড়াকে রক্তচুড়া বলে থাকে।
গ্রাম কিংবা শহর এখন সব খানেই প্রকৃতি প্রেমীদের হাতছানি দিচ্ছে বর্ণিল কৃষ্ণ চুড়া। কৃষ্ণ চুড়ার অপরুপ রুপে মোহিত হয়ে উঠেছে ভাবুক মন। বাংলা কাব্য,সাহিত্য ও সংগীতে নানা উপমায় ব্যঞ্জনায় বরাবর উঠে এসেছে কৃষ্ণ চুড়ার ফুল রুপ সৌন্দর্যের বর্ণনা। শোভা বর্ধনকারী এ ফুলের বৃক্ষটি এখন উপজেলার শহর ও গ্রামঞ্চলের আনাচে কানাচে পথে প্রান্তরে চোখে পরছে। অনিদ্য সুন্দর আগুনঝড়া ফুলের গাছের নিচে প্রচন্ড গরমে অনেকেই আধাভেজা শরীরের বিশ্রাম নিচ্ছে। প্রচন্ড গরম আর তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে কৃষ্ণচুড়া গাছের নিচে বসে বিশ্রাম নেবার পর ক্লান্তিমুক্ত হচ্ছে অনেকেই।
উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনের পুর্ব পাশে প্রয়াত কমিশনার মাসুম স্মরনী সড়কের শেষ মাথায় পুকুর পাড়ের রাস্তার পাশে কৃষ্ণচুড়া রঙ ছড়িয়ে রঙিন হয়ে পথিকের চোখ জুড়িয়েছে। এ গাছটিতে আসা রঙিন ফুল রাস্তা ও সড়কের চেহারা পরিবর্তন করে নান্দনিকতায় রুপ নিয়েছে। অপরুপ সৌন্দর্যের কৃষ্ণ চুড়া ফুলের রুপ ছড়ানো দৃশ্য ও কৃষ্ণ চুড়া গাছের নিচে অনেকেই বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বসে থাকছেন। দু ধারে বিশাল দুই পুকুর, মধ্য দিয়ে একটি মনেরোম সড়ক এবং সড়কের শেষ মাথায় কৃঞ্চচুড়া ফুলগাছ-সব মিলিয়ে দারুণ এক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এখানে। তাই বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অনেকই পরিবার সদস্যদের নিয়ে এখানে আসেন। অনেকে ছবি তোলেন। প্রচন্ড গরম ও তাপদাহে ক্লান্ত পথিকরা বলছে কৃষ্ণচুড়া গাছ গুলোতে ফুল আসায় সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আগুন ঝরা চোখ রাঙানো ফুলের কারনে পরিবেশ বদলে সৃষ্টি হয়েছে নান্দনিকতা। যেখানেই কৃষ্ণ চুড়া গাছে ফুল দেখা যাচ্ছে সেখানটাই দৃষ্টিনন্দন লাগছে।
অতশী সাহা নামে একজন কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, এই সান্তাহার শহরের মধ্যে সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন, অপরুপ সুন্দর পরিবেশ ও সেরা সড়ক এটি। আমি আমার বান্ধবীদের নিয়ে এখানে প্রায় আসি। বিশেষ করে এখানকার কৃঞ্চচুড়া গাছটি এখানকার পরিবেশকে আরো সুন্দর করে তুলেছে।