আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃআদমদীঘির সান্তাহারের ক্রিড়া, সংস্কৃতি সংগঠনগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা পৌর শহর
সান্তাহারে খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চা হারিয়ে যাচ্ছে। এক সময়ের
সংস্কৃতি চর্চা, খেলাধুলার ঐতিহ্যবাহি এই শহর তার ঐতিহ্য হারচ্ছে।
কারন হিসাবে দেখা যাচ্ছে ক্রিড়া, সংস্কৃতি চর্চার মতো প্রতিষ্টান
গুলো বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তা ছাড়া করোনাকালে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে
সং¯ৃ‹তি সংগঠনগুলো। অনেক সংগঠন হারিয়ে গেছে। শিল্পীরা কেউ
ক্লাবে আসে, কেউ আসেনা। কেউ পেশা বদল করেছে।
সত্তরের দশকে সান্তাহারে পাড়ায় পাড়ায় ক্লাবসংগঠন ছিল। এই সব ক্লাব
সংগঠনে নিয়মিত খেলাধুলা,সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চা হত।্ধসঢ়;এই
ক্লাবগুলিতে বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষ সময় কাটাতো এবং বিনোদনের
মাধ্যম হিসাবে নিয়মিত উঠা-বসা করতো।
ক্লাব গুলির মধ্যে ছিল হলুধ সংঘ, সান্তাহার স্পোটিং ক্লাব, ঝটিকা
সংসদ, কসমিক ক্লাব, সমতা ক্লাব, প্রবাহ সংঘ, বিহঙ্গ ইত্যাদি। বিকাল
থেকে এই ক্লাব গুলিতে ক্যারাম বোর্ড, লুডু, টেবিল টেনিস, খেলা
হতো। নানা বয়সের মানুষরা পেপার, ম্যাগাজিন পড়তো। বাষির্ক খেলাধূলা,
বিভিন্ন জেলায় খেলাধুলায় অংশ নিত এই ক্লাব গুলো। নিয়মিত সংস্কৃতি
চর্চা হত এই প্রতিষ্টানগুলিতে। এখন এসব অনেক ক্লাব বিলুপ্ত হয়ে
গেছে।
শহর ছাড়াও প্রায় প্রতিটি গ্রামে একটি করে ক্লাব ছিল এক সময়ে।
বিভিন্ন কারনে সেগুলি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এই সব ক্লাবের মাধ্যমে
বার্ষিক বা ঈদের পর খেলাধুলা ,নাটক,যাত্রা, নৌকা বাইচ অনুষ্টিত হতো।
এখোন কোন কোন গ্রামে দুএকটি ক্লাব টিকে আছে। ক্লাব গুলো
হারিয়ে যাওয়াতে এলাকায় খেলাধুলা, সংস্কৃতিচর্চা, একবারেই কমে
গেছে। সাহিত্য চর্চা, বই পড়া কমে গেছে। একটা পেপার কিনে একজন
নাগরিক পড়বে এরকম স্থান-প্রেস ক্লাব গুলি ছাড়া নাই। বয়স্ক ব্যাক্তিরা আর
সময় কাটানোর বা পেপার- পত্রিকা পড়ার জায়গা পায় না। খেলাধুলা কমে
যাওয়াতে তরুণরা ফেসবুক আর মোবাইলে সময় কাটায় এখন। অনেকে
নেশাগ্রস্থ হয়ে গেছে।
সান্তাহারে একটি আধুনিক স্টেডিয়াম আছে। এখন মাঝে মাঝে
ক্রিকেট,ফুটবল খেলা হয় । একটা সময় প্রতিবছর এই স্টেডিয়ামে ফুটবল,
ক্রিকেট খেলা হতো। এই স্টেডিয়ামে সান্তাহারের ক্লাবগুলি খেলাধুলা চর্চা
করতো। সান্তাহারে একটি পৌর ক্রিড়া সংস্থা নামে একটি সংগঠন থাকলেও
সেটির তেমন কোন কার্যকলাপ নেই। সান্তাহারে নানা কারনে খেলার মাঠ
হারিয়ে যাচ্ছে। ফলে ফুটবল বা ক্রিকেট চর্চা করার মতো দু একটি স্কুলের
মাঠই শুধু আছে।
সান্তাহারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে এক সময় বার্ষিক ক্রিড়ানুষ্টান হতো।
বর্তমানে সেসব আর দেখা যায় না। শীত মৌসুমে কিছু কিশোর সন্ধার পর
ব্যাডমিল্লটন খেলে এ পাড়ায় ও পাড়ায়। আর নিষিদ্ধ থাকলেও কিশোর গ্যাং
সারাক্ষন ভিপিএনএর সাহায্য ফ্রি-ফায়ার গেম খেলে। তবে সান্দিড়া ইলেভেন
ষ্টার ক্লাব উপজেলার মধ্যে প্রতিবছর ফুটবল খেলার আয়োজন করে। শত শত
মানুষ সে খেলা দেখতে আসে দুর-দুরান্ত থেকে।
সান্তাহার বিহঙ্গ শিল্পী গোষ্টীর সভাপতি ও সাংবাদিক গোলাম আম্বিয়া
লুলু বলেন,করোনা সহ নানা কারনে ক্লাব,সংস্কৃতি সংগঠন গুলো হারয়ে
গেছে। এতে তরুণরা বিপদগামী হচ্ছে।
আদমদীঘি ইউএনও অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল হক
মন্টু বলেন,সান্তাহারসহ উপজেলার সব ক্লাব,সংস্কৃতিক সংগঠনগুলো
সক্রিয় করা উচিত,স্কুল-কলেজেও সংস্কৃতিক চর্চা জোড়দার করা উচিত।
তাহলে যুবসমাজ ,শিক্ষার্থীরা বিপদগামী কম হবে।