আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার সান্তাহার পৌরসভায় কোনো যাত্রী ছাউনি না থাকায় সীমাহিন জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। জংসন স্টেশন হওয়ায় প্রতিদিন শত শত মানুষ এই সান্তাহার থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করে। সান্তাহারের নাগরিক কমিটি সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন একটি যাত্রী ছাউনির জন্য দাবী জানিয়ে আসছে বহু দিন ধরে।
সান্তাহার থেকে সড়ক পথে প্রতিদিন বগুড়ায় শত শত যাত্রী যাতায়াত করে । সান্তাহার রেলগেট গেট থেকে বগুড়া যাওয়ার বাস ছেড়ে যায়। এই স্থানে কোন যাত্রী ছাউনি নেই। আর যাত্রী ছাউনি না থাকার কারনে এ জনপদের মানুষকে রোদ, বৃষ্টি,কুয়াশাকে উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। যাত্রী ছাউনি না থাকায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হয় মহিলারা। বর্ষা মৌসুমে যাত্রীরা বৃষ্ঠির কারনে আশে পাশের দোকানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। প্রতিদিন নঁওগা থেকে ঢাকাগামী দুরপাল্লার বাসগুলি যাত্রী নেওয়ার জন্য সান্তাহারে প্রবেশ করে। ঢাকা গামী যাত্রীদের জন্যও কোন যাত্রী ছাউনি নেই। এমতাবস্থায় ভুক্তভোগি যাত্রীরা যাত্রী ছাউনি নির্মানে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সান্তাহার ১ নং রেলগেট থেকে বগুড়াগামী বাস ছড়ে প্রতিদিন ৪০/৪৫ টি। এখান থেকে বিভিন্ন বয়সের বাস যাত্রীরা সান্তাহার থেকে বগুড়ামুখী বিভিন্ন স্থানে গমন করেন। এই স্থানটি অত্যন্ত ছোট ও ব্যস্ততম স্থান। এখানে নেই কোন যাত্রীছাউনি ও টয়লেট। বিশেষ করে মহিলা যাত্রীদের জন্য এখানে একটি যাত্রীছাউনি ও পাবলিক টয়লেট দাবী করেছেন সান্তাহার নাগরিক কমিটি।
সান্তাহার ১ নং রেলগেট থেকে বাস ছাড়াও সিএনজি,টমটমসহ নানা যানবাহনের স্ট্যন্ড। এখানে প্রতিদিন শত শত বিভিন্ন যাত্রীরা নানা কষ্টের মধ্যে বিভিন্ন যানবাহন ব্যবহার করেন। অথচ এখানে নেই কোন যাত্রীছাউনি। নেই দাড়ানোর মত কোন স্থান।
বগুড়া যাওয়ার জন্য অপেক্ষামান রোজিনা আক্তার নামে এক যাত্রী বলেন, শুনেছি সান্তাহার একটি প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা। এখন প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে। এই মুহুর্তে একজন যাত্রী হিসেবে আমি কোথায় দাঁড়াবো ? এখানে নেই কোন যাত্রী ছাউনি।
বগুড়া সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম আযম জানান, এটি সাধারনত পৌরসভা তৈরি করে। আমরাও করি। তবে আপাতত কোন যাত্রী ছাউনি করার সিদ্ধান্ত নেই।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ও সদরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলায় কোথাও কোন যাত্রী ছাউনি নেই। আদমদীঘি সদরে একটি যাত্রী ছাউনি থাকলেও সেটি অতি পুরোনো হওয়ায় ভেঙে ফেলা হয়েছে। নতুন করে সেখানে আর কোন যাত্রী ছাউনি তৈরি হয়নি।
সান্তাহার পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেনের মোবাইলে কথা বলতে চাইলে সংযোগ না পাওয়ায় তাঁর কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টুকটুক তালুকদার বলেন, যাত্রীছাউনি থাকা উচিত। যাত্রী ছাউনি সাধারনত পৌরসভা করে, এলজিডি অথবা সওজ করে। আমি উনাদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলে যাত্রী ছাউনি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবো।