পরপর দুই সিনেমা থেকে বাদ পড়লেন হালের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শবনম ইয়াসমিন বুবলী। প্রথমে পরিচালক ও প্রযোজক ইকবালের ‘বিট্রে’ থেকে বাদ পড়ার পরে জসিম উদ্দিন জাকিরের ‘মায়া—দ্য লাভ ২’ থেকেও বাদ পড়লেন তিনি।
‘রিভেঞ্জ’ সিনেমায় সাফল্য না মেলায় বুবলীর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন মো. ইকবাল। সিনেমার ৪০ শতাংশ শুটিংয়ের কাজ শেষ হলেও এই নায়িকাকে নিয়ে আর কাজ করবেন না বলে ঘোষণা দেন তিনি।
ইকবালের পথেই হাঁটলেন জাকির। এরই মধ্যে সিনেমাটির ৭০ শতাংশ শুটিং শেষ হয়েছে বলে জানান এই পরিচালক। বাকি অংশের শুটিং করার প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন। তবে রোজার ঈদের পর থেকে বুবলীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে তাকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে জসিম উদ্দিন জাকির বলেন, ‘মায়া—দ্য লাভ ২’ সিনেমার আর মাত্র সাত দিনের শুটিং বাকি। তাহলে পুরো সিনেমার কাজ শেষ। তবে ‘মায়া—দ্য লাভ’ মুক্তির সময় থেকে প্রচারণায় পাচ্ছি না বুবলীকে। সিনেমাটি মুক্তি উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনের আগের দিন তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে গিয়ে দেখি সে আমাকে ফেসবুক থেকে আনফ্রেন্ড করে দিয়েছেন। হঠাৎ আনফ্রেন্ড করার কারণ বুঝতে পারছি না। তবে এ নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই।
যোগ করে তিনি আরও বলেন, সিনেমার প্রচাণার জন্য তাকে অনেক ফোন করে পাইনি। তারপর বাকি অংশের শুটিংয়ের জন্য অসংখ্যবার ফোন করি। কিন্তু তার সাড়াই পাচ্ছি না। তার জন্য আর অপেক্ষা করতে পারছি না। শেষ পর্যন্ত তাকে ছাড়াই বাকি কাজ অন্য শিল্পীদের নিয়ে শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বুবলী ছাড়াও আরও কয়েকজন শিল্পী এ সিনেমা থেকে বাদ পড়ছেন
প্রযোজক আলীনুর আশিক ভূঁইয়া বুবলীসহ অন্য শিল্পীর প্রতি বিরক্ত। ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বুবলীকে আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম আপনি বর্তমানে যে, পারিশ্রামিক নেন তার থেকে ১ লাখ টাকা বেশি দেব তবুও কাজটি শেষ করে দেন। কিন্তু তার সাড়া পাওয়া যায়নি। তিনি কাজ না করতে চাইলে আমাদের জানাতে পারতেন। সেটিও করেনি। এমন অপেশাদার শিল্পী নিয়ে প্রযোজক-পরিচালকরা কাজ করবে কিভাবে। বুবলীর থেকে আমরা শিল্পী সুলভ আচরণ পাইনি।
উল্লেখ্য, গেল রোজার ঈদে ‘মায়া—দ্য লাভ’ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। তবে সিনেমাটি শেষ করতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয় নির্মাতাকে। সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনিসুর রহমান মিলন, সাইমন সাদিক, জিয়াউল রোশান ও শবনম ইয়াসমিন বুবলী।