আমন চাষে ব্যস্ত সময়কাটাচ্ছেন ফুলবাড়ীর কৃষকরা ।
কংকনা রায়, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :- দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বর্ষাকালেও বৃষ্টির দেখা না পেয়ে সেচের মাধ্যমে জমিতে পানি দিয়ে মাঠগুলোতে পুরোদমে শুরু হয়েছে জমি প্রস্তুতসহ রোপা আমন ধান রোপণের কাজ। বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন উপজেলার কৃষকরা। সেচ ব্যবহারে খরচ কিছুটা বাড়লেও ভালো ফলনসহ লাভেরই আশা করছেন তারা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রখর রোদের কারণে জমিতে পানি নাই। তাই দুঃশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল কৃষকদের কপালে। বর্তমানে বরেন্দ্রসহ ব্যক্তিমালিকানা গভীর নলকূপগুলো চালুসহ নিজেরাই শ্যালো মেশিন মাধ্যমে জমিতে পানি দিয়ে জমি প্রস্তুত করাসহ রোপা আমন ধান রোপণ শুরু করেন কৃষকরা।
আলাদিপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান ও হরিশ চন্দ্র রায় বলেন, ইরি ধানের চেয়ে খরচ কিছুটা কম হওয়ায় প্রতিবছরই আমন চাষ করি। প্রতিবছর এসময়গুলোতে মাঠ পানিতে ডুবে থাকলেও এবছর চিত্র ভিন্ন। প্রখর রোদে ফেঁটে চৌচির মাঠঘাট। বর্তমানে আমরা শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে পানি দিয়ে চাষাবাদ শুরু করেছি। এবছর সেচ খরচের কারণে লাভ কম হবে। তবে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় আমন চাষে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ফুলবাড়ী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নসহ পৌরসভায় চলতি মৌসুমে ১৮ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন রোপণ করা হয়েছে। এ বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৬ হাজার ৭১৮ মেট্রিকটন। গতবছর ১৮ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ করা হয়। সেবছর ফসল উৎপাদন হয়েছিল ৫৪ হাজার ৩১৯ মেট্রিকটন। আগাম জাতের ধান অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে কাটা শুরু হলেও নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ধান কর্তন শেষে কৃষকের ঘরে উঠে সোনালী ফসল।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, বর্তমানে রোপা আমন রোপণ কাজে মাঠে পুরোদমে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আমনের বাম্পার ফলন হবে।