মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৮ বছরের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে এক মেয়াদের বিরতিতে দ্বিতীয় বারের মতো দোর্দণ্ড প্রতাপে হোয়াইট হাউসের মসনদে ফিরতে যাচ্ছেন রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রধান যে নীতিগত সিদ্ধান্তগুলো নেবেন তার মধ্যে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের অবসান অন্যতম বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) নির্বাচনে জয় দাবি করে ট্রাম্প এই ইঙ্গিত দেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরে দিয়েছেন বিজয় ভাষণ। যেখানে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ বন্ধে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।
ট্রাম্প তার বিজয় ভাষণে বলেছেন, আমি যুদ্ধ শুরু নয়, সব যুদ্ধ বন্ধ করতে যাচ্ছি।
ভাষণে বিশ্বের কোথায় কোথায় যুদ্ধ থামাতে সচেষ্টা হবেন, তা স্পষ্ট করে না বললেও –ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের যুদ্ধ প্রসঙ্গে হয়তো তিনি একথা বলেছেন। তবে আশঙ্কার কারণ রয়েছে ইউক্রেনের জন্য।
বিজয় ভাষণে ট্রাম্প বলেন, আমি যুদ্ধ শুরু করব না, আমি যুদ্ধ থামাব। এসময় তার প্রথম মেয়াদের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, আমাদের কোনো যুদ্ধ ছিল না, চার বছর আমরা কোনো যুদ্ধে জড়াইনি। কেবল আইএসআইএসকে পরাজিত করেছি।
২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত শাসনামলে বিলিয়নেয়ার এই ব্যবসায়ী উত্তর কোরিয়ার কোনো নেতার সঙ্গে দেখা করা প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট (ক্ষমতায় থাকা) ছিলেন। সিঙ্গাপুরে ঐতিহাসিক এক সম্মেলনে কিম জং উনের সঙ্গে করমর্দন করেছিলেন তিনি।
এদিকে এবারের নির্বাচনের ফল আসার পর অনেকেই বলছেন, ইউক্রেনকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সহয়তা বন্ধ করে দিতে পারেন ট্রাম্প।
এ ছাড়া পুতিনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলেই মনে করা হয়। ফলে, ট্রাম্পের জয়ের মধ্য দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে এক বড় মোড় দেখা যেতে পারে।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত ও ইসরায়েল-লেবানন সংঘাত বন্ধ হবে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। যদিও আজকের বক্তৃতায় কোনো যুদ্ধের কথাই সরাসরি উল্লেখ করেননি ট্রাম্প।
এর আগে, ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজা যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেন তিনি। যদিও নেতানিয়াহুর সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে ট্রাম্পের।
এ সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে যুদ্ধ বন্ধে তিনি কোনো পদক্ষেপ নেন কি না, তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।