এছাড়া ভ্রাম্যমাণ লেপ-তোষক ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও বেড়েছে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও রাস্তা ঘাটে, অনেকেই ব্যস্ত সময় পাড় করছেন পুরোনো লেপ-তোষক মেরামতে।
উত্তরের জনপদে ভোরে ও সন্ধ্যা-রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে। অনেকেই শীত নিবারণের জন্য সকালে ও রাতে গায়ে সোয়েটার ও চাঁদর জড়াচ্ছেন। রাতে বিছানায় টেনে নিতে হচ্ছে কাঁথা বা কম্বল। এবার বাজারে কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কালো হুল ২০ থেকে ৪০ টাকা, কালো রাবিশ তুলা ২০ থেকে ৪০ টাকা, সাদা তুলা ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা করে দরে বিক্রি হচ্ছে।
নীলফামারীর কালিবাড়ির মোড়ের আনোয়ার বেডিং হাউসের স্বত্বাধিকারী আনোয়ার হোসেন জানান, গতবারের তুলনায় এবার জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। লেপের তুলা প্রতি কেজিতে ৮-১০ টাকা বেড়েছে। কাপড়ের দাম বেড়েছে প্রায় ১০ টাকা। প্রতিটা লেপ তোষকে লাভ হয় ২৫০-৩০০ টাকা। ঢাকা, বগুড়া এবং সৈয়দপুর থেকে মাল নিয়ে আসি। গত কয়েক বছরের তুলনায় সব কিছুর দাম অনেক বেড়েছে।
ডোমার উপজেলা ভূমি অফিস মার্কেটের ব্যবসায়ী মো. সুরুজ মিয়া জানান, এখন জিনিসপত্রের দাম আগের তুলনায় বেড়েছে। এখন আমাদের লেপ-তোষক তৈরিতে সময় যাচ্ছে। আর ১৫-২০ দিন গেলে আমাদের বিক্রি শুরু হবে। এই বিক্রি চলে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস পর্যন্ত।
নীলফামারী সদরের ইটাখোলার মাস্টারপাড়া গ্রামের রইছুল ইসলাম (৩৫) বলেন, বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এবার লেপ-তোষক তৈরির খরচও বেড়েছে। আমি পুরোনো লেপ খুলে নতুন করে তৈরি করার জন্য দোকানে নিয়ে এসেছি। তুলার খরচ বাদ দিয়ে কাপড় ও মজুরি বাবদ ৭০০ টাকায় বানাতে দিয়েছি।
ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ীর বাসিন্দা মশিয়ার রহমান বলেন, (৩৪) শোনা যাচ্ছে এবারে বেশি শীত হতে পারে। তাই আগেভাগে লেপ তৈরির জন্য দোকানে অর্ডার দিচ্ছি। কারণ পরে সিরিয়াল দিয়েও পাওয়া যায় না। তাই আগে ভাগে বানাতে দেওয়া।