ফের কর্মবিরতিতে যাচ্ছে পোস্টগ্রাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা। প্রাইভেট ট্রেইনি ডাক্তারদের ৯ মাসের ভাতা বকেয়া, প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের নন রেসিডেন্ট ডাক্তারদের ভাতা বন্ধ এবং রেসিডেন্ট ডাক্তারদের বকেয়ার টাকা না পাওয়ায় তারা এই কর্মবিরতির ডাক দেয়।
পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি এ্যাসোশিয়েশনের ব্যানারে এই কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়। ৪ টি দাবিকে সামনে রেখে তারা এই ঘোষণা করেন। দাবিগুলো:
১। এফসিপিএস ট্রেইনি ডাক্তারদের বকেয়া ভাতা ৭ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
২। প্রাইভেট নন রেসিডেন্ট ডাক্তারদের ভাতা পুনরায় চালু করতে হবে নিয়মিতভাবে।
৩। প্রাইভেট রেসিডেন্ট ডাক্তারদের বকেয়া ভাতা সমূহ পরিশোধ করতে হবে।
৪। স্বাস্থ্য শিক্ষা মহাপরিচালক বিএমএ, সচিব এবং স্বাস্থ্য খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ২৫ হাজার টাকা থেকে ভাতা আরেক দফা বৃদ্ধির দাবি।
এর আগে শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাজধানীর মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জন্সে (বিসিপিএস) ভবনে বকেয়া ভাতার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা।
এসময় চিকিৎসকরা আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘মানুষের সেবা দেই আমরা, কিন্তু আমাদের ভাতা পেতে আন্দোলন করতে হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক। কর্মকর্তাদের ইদ আছে, পরিবার আছে, আমাদের কিছু নেই?’
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি এ্যাসোশিয়েশনের সভাপতি জাবির হোসাইন এর সাথে । তিনি বলেন, ‘এফসিপিএস করতে প্রতিদিন বহু রোগী আমাদের দেখতে হয়। চিকিৎসক হিসেবে এটা আমাদের দায়িত্ব। দায়িত্ব পালন করবো সমস্যা নেই। কিন্তু ভাতাটা আমাদের ঠিকঠাক দিতে হবে। ছয় মাস পরপর দেওয়ার কথা। কিন্তু এবার সেটা ৯ মাস হয়ে গেছে। এটা দিয়েই আমাদের চলতে হয়, পরিবারকে চালাতে হয়। জানুয়ারির শুরুতে ভাতা দেওয়ার কথা থাকলেও এখন বলা হচ্ছে আরও সময় লাগবে’।
বিসিপিএস সূত্র জানিয়েছে, অর্থ বিভাগ থেকে টাকা না আসায় ভাতা দিতে দেরি হচ্ছে। আর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য, ভাতা বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করার নীতিমালাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে অর্থ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গতবছরের জুলাই মাসে মাসিক ভাতা ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করার দাবিতে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বেসরকারি ট্রেইনি চিকিৎসকরা সারাদেশের সরকারি হাসপাতালে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি করে। তখন ভাতা ৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে তা মাসিক ভিত্তিতে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির পর প্রথমে আপত্তি জানালেও তখন কর্মস্থলে ফিরেছিল চিকিৎসকরা।
৯ মাস পার হয়ে গেল এখনও সেই টাকা পায়নি ট্রেইনি এই চিকিৎসকরা। এতে করে বিপাকে অধিকাংশই।