দিন রাত কারফিউয়ের কারণে জনজীবন তো স্থবির হয়েছেই। তবে সময়টা আরও বেশি একঘেয়ে, বিরক্তিকর আর উৎকণ্ঠার হয়ে উঠেছে সারাদেশে সমস্ত প্রকার ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায়।
সরকার বলছে কোটা আন্দোলনকারীদের ভিড়ে মিশে গিয়ে এক ধরনের সংঘবন্ধ চক্র দেশের ডাটা সেন্টারসহ উল্লেখযোগ্য বেশকিছু সরকারী সম্পদ আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করেছে।
অনেকে আবার মনে করছেন দেশের এই অস্থির চিত্র যাতে আর যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য ইন্টারটেনেট সংযোগ বন্ধ করে রাখা হয়েছে!
তবে স্বস্তির খবর হলো আজ কারফিউ শিথিল হওয়ার পাশাপাশি ইন্টারনেট সংযোগও এসেছে কিছু অফিস আদালতে। সবার মতো অন্তর্জালহীন কারফিউ সময়ে গত এক সপ্তাহ ঘরবন্দি ছিলেন দেশের শীর্ষ অভিনেতা মোশাররফ করিম।
জীবনের এই অস্বাভাবিক সময় নিয়ে তিনি বলেন, ‘আধুনিক সময়ে এসে দেশের এমন স্থবির অবস্থা একেবারেই কাম্য নয়। আশা করছি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে। দেশ আবার আগের মতো সুন্দর ও স্বাভাবিক হবে।’
এই অভিনেতা আরও বলেন, ‘কারফিউর এই সময়ে সব কাজ বন্ধ। বাসায় বসে বই পড়ে, টিভিতে খবর দেখে সময় কেটেছে।’
তবে টানা ইন্টারনেট সংযোগ না থাকাটাকে ইতিবাচক হিসেবেও দেখছেন মোশাররফ করিম। তিনি বলেন, ‘এর একটা ইতিবাচক প্রভাবও পড়েছে। মানুষের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্ভরশীলতা কমে আসছে।
জীবনকে নতুনভাবে উপলব্ধি করা হচ্ছে। অনেকেই বই পড়ায় ফিরে গিয়েছে।’
কোটা আন্দোলন ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। আজ (২৪ জুলাই) থেকে খুলছে অফিস-আদালত-কারখানা। তবে কারফিউ বহাল রয়েছে।
ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে আজ এবং আগামীকাল কারফিউ বহাল থাকবে। তবে এ দুদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সাত ঘণ্টা কারফিউ শিথিল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।