স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকদের চাকরি এমপিওভুক্ত করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। এতে প্রায় ছয় হাজার শিক্ষকের দীর্ঘ ৪০ বছরের দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্যও বেশ কিছু সুবিধাসহ ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন তিনি।
বুধবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শেষ কার্যদিবস ছিল অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের। এদিন দুপুরে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বুঝে নেন নতুন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে স্বেচ্ছায় সরে গেলেও ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের হাতে থাকছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকালে তিনি শিক্ষাখাতে বেশকিছু পরিবর্তন আনেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন ও নতুন বই ছাপানোর কাজে তিনি দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন তিনি। দেশের প্রকাশনা শিল্পকে রক্ষা করতে তিনি পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর দায়িত্ব থেকে ভারতীয় প্রকাশক সরিয়ে দেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধতন কর্মকর্তা জানান, বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ইবতেদায়ি শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করার প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছেন। এরমাধ্যমে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তাঁর প্রায় সাত মাসের কার্যক্রম শেষ করলেন।
নতুন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবও দেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও বিনোদন ভাতা বাড়ানো সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ঈদুল আজহার সময় এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছর শিক্ষরা বঞ্চিত ছিলেন। এ বঞ্চনা দু’এক বছরে মেটানো সম্ভব নয়। তারপরেও আমরা এটা শুরু করে দিয়েছি। বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবসর এবং কল্যাণ ভাতার জন্য একটি তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা শুরু করলাম। আশা করছি আগামী ৩-৪ টা বাজেটে এসব কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি। যেভাবেই হোক শিক্ষকদের মর্যাদা বাড়াতে হবে বলেও জানান তিনি।
ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলো এমপিওভুক্ত করার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কারিগারি ও মাদরাসা বিভাগের ঊর্ধতন এক কর্মকর্তা জানান, প্রস্তাবটি অনুমোদন হয়েছে। এখন প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। চূড়ান্ত অনুমোদনের পর চলতি অর্থ বছর থেকে এমপিওভুক্তির কার্যক্রম শুরু হবে।