শীত উপেক্ষা করে ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোমর বেঁধে মাঠে কাজ করছেন চাষীরা । জানুয়ারি মাস থেকেই শুরু হয় ইরি-বোরো চাষ । এবছরও সেচনির্ভর এই ধানের চাষে ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। রবিবার ২৬ জানুয়ারী বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিশালপুর গ্রামের চরাঞ্চলে দেখা মেলে এমন চিত্র।
বীজতলা সাধারণত ডিসেম্বর মাসে প্রস্তুত করা হয়। চারা ৩০-৩৫ দিনের হলে মূল জমিতে রোপণ করা হয়, যা সাধারণত জানুয়ারির শুরু থেকে ফেব্রুয়ারীর মধ্যে হয়ে থাকে।
কৃষি অফিসের হিসাব অনুযায়ী, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ২০৯৬৯ লক্ষ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
শেরপুর উপজেলার বিশালপুর গ্রামের কৃষক সরেন বলেন, "আমরা ইতোমধ্যেই বীজতলা থেকে চারাগুলো তুলে জমিতে লাগানো শুরু করেছি। এবার ফলন ভালো হবে বলে আশা করছি।"
কৃষক আব্দুক মতিন বলেন, "সারের দাম বেড়ে গেছে। পাশাপাশি সেচের খরচও বেশি। সরকার যদি এসব ক্ষেত্রে সহায়তা করে, তাহলে আমরা লাভবান হতে পারবো। তবে কৃষকরা সারের দাম বৃদ্ধি এবং সেচ খরচ নিয়ে উদ্বিগ্ন।
শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার বলেন, ইরি-বোরো ধান চাষে কৃষি বিভাগ কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগীতা দিয়ে আসছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছারিয়ে যাবে বলে আশা করছি ।