নিউজ ডেস্কঃ- ঈদের আগে চাহিদা বেড়েছে। তাই সুযোগ বুঝে হঠাৎ করে সবধরনের গোশতের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির পাশাপাশি গরুর গোশতের দামও বেড়েছে। চড়া দামের জন্য সরবরাহ কমের অজুহাত দিচ্ছেন বিক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের আগে গরু ও মুরগির গোশতের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়তি চাপ তৈরি হয় বাজারে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ না বাড়ায় দাম বেড়েছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা কেজিতে। কোথাও কোথাও ৮০০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি সুমন হাওলাদার গণমাধ্যমে বলেন, বাজারে মুরগির বাচ্চার দামে নিয়ন্ত্রণ নেই। খামারিদের চড়াদামে বাচ্চা কিনতে হচ্ছে। এছাড়া মুরগির খাবার ও ওষুধের দামও বাড়তি।
সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে বিপিএ সভাপতি বলেন, কর্পোরেট গ্রুপগুলোর কৃত্রিম সংকটে মুরগির বাচ্চা ক্রয় করতে না পেরে অনেক প্রান্তিক খামারি উৎপাদন থেকে বাধ্য হয়ে সরে যাচ্ছে। কর্পোরেট গ্রুপগুলো মুরগির বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। এতে প্রান্তিক খামারিরা বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে মুরগির দামে।