ঈদে আসছে ভাবনার, যাপিত জীবন।
এই প্রজন্মের নন্দিত অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। কিছুদিন আগেই তিনি শেষ করেছেন তারই বাবা হাবিবুল ইসলাম হাবিবের পরিচালনায় নির্মিত সিনেমা ‘যাপিত জীবন’র কাজ। এই সিনেমায় তিনি আনজুম চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আনজুম সিনেমাটির অন্যতম প্রধান একটি চরিত্র। সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে সেলিনা হোসেনের উপন্যাস অবলম্বনে।
এদিকে এরইমধ্যে সেন্সর ছাড়পত্র পেলো ভাবনা অভিনীত শুদ্ধমান চৈতন পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘দামপাড়া’। এই সিনেমায় ভাবনা অভিনয় করেছেন এসপি শামসুল ইসলামের স্ত্রী মাহমুদা হক চৌধুরীর চরিত্রে। সেন্সর বোর্ডে যারা এই সিনেমাটি দেখেছেন তারা প্রত্যেকেই ভাবনার অভিনয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার গল্প নিয়ে মূলত ‘দামপাড়া’ নির্মিত।
‘যাপিত জীবন’ ও ‘দামপাড়া’ প্রসঙ্গে ভাবনা বলেন,‘ শুরুতেই যেটা বলতে চাই সেটা হলো আমি সিনিয়র শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করতে ভীষণ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কারণ কাজের বাইরেও তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। ফেরদৌস ভাইয়ের সঙ্গে দামপাড়া সিনেমায় কাজ করে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। তিনি এতো ডাউন টু আর্থ একজন শিল্পী, তার বিনয় তার সবকিছুই আসলে আমাকে মুগ্ধ করেছে। শুদ্ধমান চৈতন শতভাগ চেষ্টা করেছে সিনেমাটি ভালোভাবে নির্মাণের জন্য যার ফল কিন্তু প্রাথমিকভাবে সেন্সর বোর্ডে তিনি পেয়েছেন। আর যাপিত জীবন-সম্পর্কে যদি বলতে হয় তাহলে বলতে হয় আমার অভিনয়ে আসা কিন্তু বাবাকে দেখে, বাবাতে অনুপ্রাণিত হয়ে। আমি কিন্তু সবসময়ই বেশ সচেতনতার সাথেই চেয়েছি যে আব্বুর নির্দেশনায় আমার কাজ না হোক। কিন্তু এই সিনেমায় শেষমেষ শ্রদ্ধেয় সেলিনা হোসেন’সহ যাপিত জীবনের পুরো টিম চেয়েছে যে আমি আনজুম চরিত্রটিতে কাজ করি। যাপিত জীবন নির্মাণ করতে গিয়ে আব্বু’সহ পুরো ইউনিটই আসলে অনেক শ্রম দিয়েছে, কষ্ট করেছে। যে কারণে আমার কাছে মনে হলো যে সিনেমাটি একটি অসাধারণ সিনেমা হয়ে উঠেছে। সত্যিই আমি খুউব আশাবাদী দামপাড়া এবং যাপিত জীবন নিয়ে।’
ভাবনা অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা হচ্ছে অনিমেষ আইচের ‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’ ও নূরুল আলম আতিকের ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’। পরিচালক হাবিবুল ইসলাম হাবিব জানান, তার নির্মিত ‘যাপিত জীবন’র আপাতত ডাবিং-এর কাজ চলছে। আরো দু’মাস পর সিনেমাটি সেন্সরের জন্য জমা দেয়া হবে।