ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ক্রেতারা ভিড় করছেন বিভিন্ন দোকানে, মার্কেটে আর ফুটপাতে। বগুড়া ও শেরপুরের ঈদ মার্কেটগুলতে এখন উপচে পড়া ভিড়। পাঞ্জাবী, থ্রি পিস, জুতো, গহনা, বাহারি রঙিন পোশাক, আর প্রসাধনীর দোকানগুলোতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটার মহাধুম। কিন্তু এই উৎসবের আমেজের মাঝেও অনেকের মনে একটা দ্বিধা—সাধ আছে, কিন্তু সাধ্য নেই।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বগুড়া ও শেরপুরের মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা যায়, বগুড়া শহরের নিউ মার্কেট, আলামিন কমপ্লেক্স, শরিফ উদ্দিন মার্কেট, রানারপ্লাজা, পুলিশ প্লাজা, চুরি পট্টি, জলেশ্বরীতলা ও হকার্স মার্কেট ও প্রধান সড়কের ফুটপাতে ও ভ্যানে করেও চলছে বেচাকেনা। থেমে নেই শেরপুর শহরের শেরশাহ নিউ মার্কেট, উত্তরা প্লাজা, ডক্টরস কমপ্লেক্স, জাহানারা কমপ্লেক্স, শেরপুর প্লাজা, করতোয়া মার্কেটের বিপণি বিতান আর আশপাশের ছোট-বড় দোকানগুলোতে নারী- শিশু ও যুবকদের কেনাকাটা।
ঈদকে সামনে রেখে থ্রি পিস, বুটিক্সের বিভিন্ন ধরনের নতুন কালেকশন এবং পাকিস্তানি উন্নতমানের থ্রি পিসের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ১০০০ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় ৭০০০ টাকা মূল্যের থ্রি পিস বিক্রি হচ্ছে। ফুটপাতের মৌসুমি ও ভ্রাম্যমাণ দোকানে ৩০০ টাকায় নতুন প্যান্ট, ৪৫০ টাকায় শার্ট এবং ২৫০ টাকায় মিলছে স্বল্পমূল্যে নতুন জামা-কাপড়।
শিশুদের পোশাকের সমাহার এবার বেশ নজরকাড়া- শর্টস ও টি-শার্ট ৩৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায়, ফ্রক ৪০০ টাকা থেকে ১,২০০ টাকায়, বারবি গ্রাউন ১২০০- ৪০০ ০টাকায়, সেলোয়ার-কামিজ ৭০০ টাকা থেকে ১,৫০০ টাকায় ও স্যুট বা কুর্তা পাওয়া যাচ্ছে ৮০০ টাকা থেকে ২,০০০ টাকা বাজেটেই।
বগুড়া শহরের সাতমাথা থেকে রানার প্লাজার মাঝের রাস্তার দুই পাশের ভ্যানগুলোতে ২০০-৫০০ তেই মিলছে নানা পোষক।
ভ্রাম্যমাণ দোকানে কাপড় কিনতে এসে এক ক্রেতা বলেন, ভাই, গত বছর এই ধরনের কাপড় যে দামে কিনেছি, এবার তার চেয়ে অনেক বেশি দাম হাঁকাচ্ছে। সাধ আছে, কিন্তু সাধ্য তো সীমিত। বুঝতেই পারছি না, ঈদটা কীভাবে কাটবে।
আরেক ক্রেতা জানালেন, দাম দেখে মন খারাপ হয়ে যায়। ছেলে-মেয়ের জন্য কিছু কিনতে এসেছি, কিন্তু সবকিছুর দাম এত বেশি যে সাধ থাকলেও সব কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
এক বিক্রেতা জানান, ক্রেতার সংখ্যা বাড়লেও বেচাকেনা আশানুরূপ নয়। অনেকে শুধু দেখছেন, দরদাম করছেন, কিন্তু কেনার সময় পিছিয়ে যাচ্ছেন।
সব মিলিয়ে, ঈদ মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় থাকলেও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ নানা কারণে অনেকেরই সাধ পূরণ হয়ে উঠছে না বলে জানান ক্রেতা ও বিক্রেতারা।