নিউজ ডেস্কঃ- স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভের মুখে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারমধ্যে অন্যতম হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে অবৈধভাবে অবস্থানরত সাবেক শিক্ষার্থীদের আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি সভা শেষে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম।
তিনি বলেন, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে অবৈধভাবে অবস্থানরত সাবেক শিক্ষার্থীদের আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে আবাসিক হল ছেড়ে চলে না গেলে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়াও ক্যাম্পাসে অনুমোদনহীন অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করা, ভাসমান দোকানপাট উচ্ছেদ এবং ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এর আগে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করাসহ নানা দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন। বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়। এ সময় ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করাসহ অন্যান্য দাবি জানান আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীর।
বিক্ষোভ মিছিলে প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিভাগের শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো-ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অবৈধ শিক্ষার্থীদের হল থেকে দ্রুত বের করে দেয়া এবং প্রক্টর, প্রভোস্টের ভূমিকা স্পষ্টকরণ করা।
আন্দোলনের মধ্যেই ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৬ জনের সনদ স্থগিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে এ ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির সুপারিশ করার জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে।