স্থলভাগে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় দানা। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১২ মিনিটে ভারতের ওড়িশার উপকূলে ঘূর্ণিঝড়টির আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলে গুঁড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে তবে এখন পর্যন্ত এর তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।
আজ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত আবহাওয়ার ১২ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আরো উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় এলাকায় (২০,৪° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৭.০° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যবর্তী স্থানে স্থলভাগ অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড়ের সামনের অংশ। এই সময় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতি রয়েছে ১২০ কিলোমিটার।
শুক্রবার সকালেও এ প্রক্রিয়া চলবে। প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে তিন থেকে চার ঘণ্টা লাগবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
ঘূর্ণিঝড় দানা শুরু হওয়ার পর ঝড়ের দাপট আরও বেড়েছে ওড়িশায়। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলেও ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। তবে রাত পর্যন্ত কলকাতায় তেমন কোনো প্রভাব দেখা যায়নি।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছিল, দানার প্রভাবে কলকাতায় হাওয়ার সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। কিন্তু ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু হলেও কলকাতায় রাত পর্যন্ত তেমন কোনও প্রভাব দেখা যায়নি। মাঝেমাঝে বিক্ষিপ্ত ভাবে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হচ্ছে শহরে। পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলে অবশ্য রাতেও ঝড়বৃষ্টি চলছে।
সূত্র: আনন্দবাজার, এবিপি নিউজ, জিনিউজ