উল্লাপাড়া সংবাদদাতা :
উল্লাপাড়ার আলিয়ারপুর-প্রতাপ চরিঙ্গাপাড়া সড়কটির এখন বেহাল দশা। এলাকার লোকজন শুকনো মৌসুমে সড়কের উপর দিয়ে চলাচল করতে পারলেও বর্ষার দিনে এর পুরো অংশ কাদায় পরিপূর্ণ হয়ে থাকে। একবার বৃষ্টি হলে তার রেশ চলে এক সপ্তাহ। কাদা শুকাতে না শুকাতেই হয় আবার বৃষ্টি। ফলে মানুষের ভোগান্তির শেষ থাকে না। আর এ অবস্থা চলে আসছে অর্ধ শতাব্দী ধরে। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার
বাঙ্গালা ইউনিয়নে এই রাস্তাটির অবস্থান। প্রায় আড়াই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি এখন এই জনপদের মানুষের দুর্ভোগের বড় কারণ।
এলাকাবাসী রাস্তাটি পাকাকরনের দাবি জানালেও জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসেই কেটে গেছে ৫০ বছর।
স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষে আলিয়ারপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম, নেজাব উদ্দিন, মিলন আকন্দ ও বাবুল সরকার অভিযোগ করেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে এই কাঁচা রাস্তাটি পাকা করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে আবেদন নিবেদন করা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন প্রতিনিধিই তাদের আবেদন আমলে নেয়নি। ফলে এই রাস্তার চেহারার কোন পরিবর্তন হয়নি। অথচ এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন পাশর্র্বতী বানিয়াকৈড়, প্রতাপ, ঘোনাকুচিয়ামাড়া, গাইলজানি, পিয়ারাপুর, ভাটরা, আলিয়ারপুরসহ অন্তত ১০ গ্রামের
মানুষ উল্লাপাড়া উপজেলা সদর, উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশন, সিরাজগঞ্জ রোডসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকেন। একই সঙ্গে এসব গ্রামের ৪ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী প্রতাপ আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, প্রতাপ মহিউদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, প্রতাপ টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস কলেজ, প্রতাপ দাখিল মাদ্রাসা এবং আলিয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে। শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এই পথে হাঁটতে গিয়ে অনেকদিন কাদার মধ্যে পড়ে পোশাক ও বই খাতা নষ্ট করে ফেলে। অনেক শিক্ষার্থীকে যেতে হয় বাড়ি ফিরে। অথচ
এই রাস্তাটি সংস্কার বা পাকা করণের কোন উদ্যোগই আজ পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। শেষ হয়নি এ অঞ্চলের মানুষের দুঃখ দুর্দশা।
এ ব্যাপারে বাঙ্গালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে এদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ দলীয় হওয়ায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
সংশ্লিষ্ট বাঙ্গালা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, এই পরিষদে তিনি নতুন এসেছেন। সাধারণত সংশ্লিষ্ট এলাকার মেম্বারগণ ইউনিয়ন পরিষদের সভায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উপস্থাপন করে থাকেন। পরবর্তীতে সরকার থেকে বাজেট বরাদ্দ পেলে উপজেলা পরিষদের অনুমোদনের পর প্রকল্পের কাজ করা হয়। কিন্তু এতো দীর্ঘ দিনেও কেন এই রাস্তাটির উন্নয়নে কোন প্রকল্প দেওয়া হয়নি তা তার বোধগম্য নয়। বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উল্লাপাড়া অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু সায়েদ জানান, গ্রাম অঞ্চলে অনেক কাচা রাস্তা রয়েছে। যেগুলো পর্যায়ক্রমে পাকা করা হচ্ছে।