বদরগঞ্জ রংপুর প্রতিনিধিঃ স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্য হওয়ায় তাদের মধ্যে মহব্বত করার জন্য কবিরাজ মিজানুর রহমান হাতিয়ে নেন মোটা অংকের টাকা বদরগঞ্জ থানায় অভিযোগ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১১ মাস পূর্বে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের ইন্দিরাপাড়ার কবিরাজ মিজানুর রহমান কুমিল্লা যান চিকিৎসা দিতে। সেখানে গিয়ে দেখা হয় দিহান চানাচুর ফ্যাক্টরিতে কর্মরত একই এলাকার আশিকুর রহমান রানা ও আব্দুল সালামের সঙ্গে। আশিকুর রহমান দিহান চানাচুর ফ্যাক্টরির থাকাকালীন কবিরাজ মিজানুর রহমানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন মো আমির হোসেনের সঙ্গে। আমির হোসেনের মেয়ে ও জামাতার সঙ্গে মনোমালিন্য। তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মহব্বত করে দেওয়ার কথা বলে কবিরাজ মিজানুর রহমান ৪১ দিন সময় নিয়ে এক লক্ষ খরচ হবে বলে জানিয়ে দেন। পরে আমির হোসেন ৯২ হাজার টাকা কবিরাজ মিজানুর রহমানের হাতে দেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন আশিকুর রহমান রানা ও আব্দুল সালাম। সেখানে কয়েকদিন থেকে বাড়িতে চলে আসেন কবিরাজ মিজানুর রহমান।৪১ দিন পার হয়ে যায় মেয়ে ও জামাতার মধ্যে মহব্বত না হওয়ায়। পরে কবিরাজ মিজানুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে বিরাজ মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমির হোসেন। তিনি মুঠোফোনে আবারও মিথ্যা আশ্বাস দেন। এভাবেই পার হয়ে যায় বেশ কয়েকদিন। আবারও মুঠোফোনে কবিরাজের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজের কথা বললে তিনি উল্টো ক্ষেপে যান। পরে আমির হোসেন ৯২ হাজার টাকা ফেরত চাইলে আমির হোসেনের মোবাইল নাম্বারটি মোবাইলে ব্ল্যাকলিস্টে রেখে দেন কবিরাজ। পরে কোন উপায় না পেয়ে বদরগঞ্জ চলে আসেন আমির হোসেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটে বাড়িতে গিয়ে সমস্ত টাকা ফেরত চাইলে আমির হোসেনের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন কবিরাজ মিজানুর রহমান। একপর্যায়ে কবিরাজ মিজানুর রহমান জানিয়ে দেন এখন মনে কর টাকা দিবেন না। উল্টো ভয় ভীতি ও হুমকি দেন কবিরাজ মিজানুর রহমান। পরে বদরগঞ্জ থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করেন আমির হোসেন।
এ বিষয়ে কবিরাজ মিজানুর রহমানের সঙ্গে বাড়িতে গিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।