ভারতের ১৮তম লোকসভার নির্বাচনী কার্যক্রম শেষে এবার ভোট গণনা চলছে। চলতি বছর পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে অনেক তারকাকেই প্রার্থী করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি। নির্বাচনে তারকাদের রীতিমতো হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে।
বীরভূম আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের তিনবারের সংসদ সদস্য অভিনেত্রী শতাব্দী রায় তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্যের চেয়ে প্রায় ৫৩ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন।
প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ বর্ধমান-দুর্গাপুর আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন। তার বিপরীতে বিজেপির রাজনৈতিক তারকা প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এখন ৪০ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন আজাদ।
ঘাটাল কেন্দ্রে মুখোমুখি লড়াই করেছেন বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় দুই অভিনেতা দেব ও হিরণ। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দেব তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির হিরণ চ্যাটার্জীর থেকে আট হাজারের কিছু বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন নির্বাচনে।
বাঁকুড়া কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডা. সুভাষ সরকার। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অরূপ চক্রবর্তী। তিনি বিজেপি প্রার্থীর চেয়ে প্রায় ছয় হাজার ভোটে এগিয়ে।
বলিউড অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা এবার আসানসোল কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি বিজেপির প্রাক্তন সংসদ সদস্য ও বিজেপি প্রার্থী এস এস আলুওয়ালিয়ার চেয়ে প্রায় ২৩ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন।
মেদিনীপুর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অভিনেত্রী জুন মালিয়া। তার বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন বিজেপির বিধানসভা সদস্য ও ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পাল। প্রায় পাঁচ হাজার ভোটে তার থেকে এগিয়ে আছেন মালিয়া।
পশ্চিমবঙ্গের হুগলি কেন্দ্রে মুখোমুখি লড়াই করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রচনা ব্যানার্জী এবং বিদায়ী সংসদ সদস্য বিজেপির লকেট চ্যাটার্জী। তাদের মধ্যে ১৭ হাজারের কিছু বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন রচনা।
শ্রীরামপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের বিদায়ী সংসদ সদস্য কল্যাণ ব্যানার্জীর বিপরীতে বিজেপি থেকে দাঁড়িয়েছিলেন তারই প্রাক্তন জামাই কবীর কৃষ্ণ বসু। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আট হাজার ৮০০ ভোটে এগিয়ে আছেন কল্যাণ ব্যানার্জী প্রায়।
কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ও সংসদ সদস্য সুদীপ ব্যানার্জীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন দলীয় সতীর্থ তাপস রায়। মাস কয়েক আগেই রায় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু ১৬ হাজারের কিছু বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন সুদীপ ব্যানার্জী।
কলকাতা দক্ষিণে তৃণমূল কংগ্রেসের মালা রায় গত লোকসভা নির্বাচনে রেকর্ড ভোটে জিতেছিলেন। এবার প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর থেকে প্রায় ৮৬ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন তিনি।
যাদবপুরে তৃণমূল কংগ্রেস অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির তাত্ত্বিক নেতা অনির্বাণ গাঙ্গুলির থেকে ৭৫ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন। অন্যদিকে, দমদম কেন্দ্রে ১৫ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা ও বেশ কয়েকবারের সংসদ সদস্য সৌগত রায়।
ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে বিজেপির অভিজিত দাসের চেয়ে দুই লাখ ৩২ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জী।
কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে কৃষ্ণনগরের সাবেক রাজ পরিবারের বধূ অমৃতা রায়ের চেয়ে ৪৪ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। অন্যদিকে বিষ্ণুপুর আসনে বিজেপির বিদায়ী সংসদ সদস্য সৌমিত্র খান তার প্রাক্তন স্ত্রী, তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মন্ডলের চেয়ে সাড়ে পাঁচ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন।
তমলুক কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী ও প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের চেয়ে পাঁচ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন।
মতুয়া অধ্যুষিত আসন বনগাঁ কেন্দ্রে বিদায়ী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের বিশ্বজিত দাসের থেকে প্রায় ২০ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন।