লিমন খান : কাজিপুর(সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুরের একটি অভিযোগপত্র প্রদানকে কেন্দ্র করে কজিপুর থানার ওসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ এনে মানববন্ধন করেছেন বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান বাবলু।বাবলু উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি স্থানীয় এলাকাবাসীকে নিয়ে মানব বন্ধনের প্রস্তুতি নেন। এদিকে মানব বন্ধনের খবর পেয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক আসাদুল ইসলামের লোকজন ঘটনাস্থলে চলে আসলে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও ধাওয়াধাওয়ির ঘটনা ঘটেছে। এতে করে এক পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।শনিবার বেলা ১১ টায় উপজেলার মেঘাই পুরাতন বাজার নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৪ ডিসেম্বর কাজিপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবলুর বসতবাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাবলুর পুত্র মেহেদী হাসান সুমন বাদী হয়ে কাজিপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আসাদুল সহ ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আসাদুলও মোটরসাইকেল পোড়ানো ও হামলা- ভাংচুরের অভিযোগ এনে গত ১৬
ডিসেম্বর বিএনপি নেতা বাবলুর চার পুত্র সহ ১৪ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের
করেন। গত ৫ মার্চ আসাদুলের দায়ের করা মামলার অভিযোগ পত্র দাখিল করে পুলিশ। এতে ক্ষুব্ধ হন বিএনপি নেতা বাবলুও তার লোকজন। তারা ওসির পক্ষপাত মূলক আচরণ ও অপসারনের দাবীতে মেঘাই বাজার এলাকায় মানববন্ধন করার চেষ্টা করে।মিজানুর রহমান বাবলুর দাবী, আসাদুলের লোকজন শান্তিপূর্ণ সমাবেশে লাঠি সোটা নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় এক পুলিশ কনষ্টবেল সহ ৫ জন আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে।
বাবলু আরও বলেন, আমার মামলা আগে করা। অথচ পরে করা আসাদুলের মামলার অভিযোগপত্র আদালতে পাঠিয়েছেন ওসি।বিষয়টি কাজিপুরের সবাই জানে। ওসি পক্ষপাত দোষে আক্রান্ত। এবিষয়ে জানতে কাজিপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আসাদুলকে
ফোন করে তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে কাজিপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম জানান, আমরা কাউকে অনুমতি দেইনি লোকজন ডেকে এনে মানববন্ধন ও মারপিট করার।ব্যক্তির দায় দল নেবে না। পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে এটাই স্বাভাবিক। হামলার ঘটনা অনভিপ্রেত।
কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। দুজন অফিসারকে দুটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আসাদুলের মামলার তদন্ত কাজ শেষ হয়েছে।বাবলুর ছেলের করা মামলারও তদন্ত কাজ শেষ পর্যায়ে। কোনটিই আদালতে পাঠনো হয়নি। এখানে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।