1. dailybogratimes@gmail.com : admin :
কালাইয়ে কিডনির দালাল উপজেলা কৃষকদলের সদস্য, এলাকায় সমালোচনার ঝড় - Daily Bogra Times
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ভূরুঙ্গামারীতে দাড়িয়ে থাকা বাসে আগুন সবকটি আসন পুড়ে ছাই সিরাজগঞ্জে কৃষক সার ডিলার ও বিএফএদের সাথে মতবিনিময় তারেক রহমানের নির্দেশ শীতে দরিদ্র মানুষের পাশেদাঁড়াতে হবে-ভিপি সাইফুল ইসলাম পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিদেশ পালাতে গিয়ে বিমানবন্দরে গ্রেফতার রাজশাহীর বালুমহলে মাটি কেটে বিক্রি হচ্ছে ইট ভাটায় পাঁচবিবিতে ভাতিজার ছুরির কোপে চাচার মৃত্যু, থানায় অভিযোগ গণধর্ষণে হত্যার প্রায় ৫ মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য ভিকটিম কলেজ ছাত্রীর লাশ উত্তোলন লালমনিরহাটে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সুজনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন। ভারতে কুম্ভমেলায় পদদলিত হয়ে নিহত বেড়ে ৪০ মানুষের আস্থা আমাদের ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান

কালাইয়ে কিডনির দালাল উপজেলা কৃষকদলের সদস্য, এলাকায় সমালোচনার ঝড়

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময়ঃ শনিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৩১ Time View
কালাইয়ে কিডনির দালাল উপজেলা কৃষকদলের সদস্য, এলাকায় সমালোচনার ঝড়
print news

তৌহিদুল ইসলাম তালুকদার লায়নর,কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি ঃ
জয়পুরহাটে আওয়ামী লীগের কর্মী হলেন জেলার কালাই উপজেলা শাখার
অনুমোদিত আহ্ধসঢ়;বায়ক কমিটির সদস্য। বিষয়টি জেলা কমিটির দৃষ্টি
আকর্ষণের জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের
ফেসবুক (এফবি)
একাউন্টে পোস্ট দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির
জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক লায়ন সিরাজুল ইসলাম বিদ্যুৎ। তাঁর এ
পোস্ট দেওয়ার পরপরই জেলা জুড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক
আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারি জাতীয়তাবাদী
কৃষকদলের জয়পুরহাট জেলা শাখার আহ্ধসঢ়;বায়ক সেলিম রেজা ডিউক ও সদস্য
সচিব মনজুরে মওলা পলাশ স্বাক্ষতি ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কালাই উপজেলা শাখার
অনুমোদন দেয়। তবে অনুমোদিত ওই আহ্ধসঢ়;বায়ক কমিটির ১৯ নম্বরে
সদস্যের তালিকায় আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী মো. নুর নবীর নাম থাকার
অভিযোগ তুলে লায়ন সিরাজুল ইসলাম বিদ্যুৎ। জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের
কেন্দ্রীয় কমিটির এ নেতা বিষয়টি নিয়ে একটি পোস্ট
দিয়েছেন।

এলাকাবাসী ও বিএনপির সক্রিয় সদস্যরা জানান, কালাই উপজেলা শাখার
আহ্ধসঢ়;বায়ক কমিটির ১৯ নম্বরে সদস্যের তালিকায় উল্লিখিত নামের পাশে
০১৭১৩-৭৭৭৮৮৮ নম্বরের মুঠোফোনটি মো. নুরনবী সরকারের। তাঁর বাড়ি
কালাই উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের দুধাইল নয়াপাড়া গ্রামে। তিনি ওই
ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওর্য়াডের সদস্য।

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, মো. নুরনবী সরকার কালাইয়ের কিডনির দালাল
চক্রের একজন সদস্য। এ অপরাধে ইতোপূর্বে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে কিডনি, অস্ত্র ও মানবপাচারসহ
একাধিক মামলা চলমান আছে। মাত্র এক যুগের ব্যবধানে তিনি রাতারাতি
কোটিপতি বনে গেছেন। দীর্ঘদিন থেকে মো. নুরনবী সরকার আওয়ামী
লীগ করতেন। শুধু নুরনবী সরকার নয় উপজেলা শা
খার আহ্ধসঢ়;বায়ক কমিটির ১১
নম্বরে সদস্যের তালিকায় মাত্রাই ইউনিয়নের আব্দুল জলিল ও ১৭ নম্বরে ওয়ায়েজ
কুরনীসহ অনেকেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই তারা নিজেরাই
খোলস বদলাতে শুরু করেন। এরই একপর্যায়ে কৃষকদলের ওই কমিটি
অনুমোদন লাভের সাথে সাথে আওয়ামী লীগ কর্মী থেকে তারা বিএনপি

নেতা হয়ে ওঠেন। ওই অনুমোদিত ওই কৃষকদলের কমিটিতে আরও বির্তকিত
ব্যক্তিরা স্থান পেয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালাই উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতা ক্ষোভ
প্রকাশ করেছেন। তাঁরা জানান, যে কমিটির অনুমোদনে স্বার্থ ও লোভ
থাকে। অনৈতিক লেনদেন থাকে। সে কমিটিতে অনুপ্রবেশ থাকবে এটাই
স্বাভাবিক। কৃষকদলের কেন্দ্রীয় নেতা সিরাজুল ইসলাম তাঁর এফব্#ি৩৯;তে
কালাই উপজেলার কৃষক দলের অনুমোদিত কমিটির তালিকার ছবির পাশেই
আরেকটি ছবি পোস্ট করেন। ওই ছবিতে নীল রঙের পাঞ্জাবি পরিহিত ব্যক্তি
যিনি দল বেঁধে ফুলের নৌকা হাতে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁকে কেন্দ্র করে
সিরাজুল ইসলাম লিখেছেন নৌকার মাঝি নুরনবী এখন জয়পুরহাট কালাই
জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কর্ণধার…। সিরাজুল ইসলামের ওই পোস্টটি আজ
শুক্রবার রাত ৯ টা পর্যন্ত ১৯৮ টি রিয়েক্ট, ৭৫ টি কমেন্টস ও ১৭ টি শেয়ার
হয়েছে। এ পোস্টকে কেন্দ্র করে লিখিত মন্তব্যে তিনি লিখেছেন,এটা
কোন ব্যাপার না আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী এখন বিএনপির কর্ণধার
কালাই উপজেলায়। জাফর সাদিক রাজু লিখেছেন, কালাই উপজেলা বিএনপি
যেন বাংলদেশ আওয়ামী লীগ অফিস থেকে পরিচালিত হয়। মো. জামিল খান
লিখেছেন,;খুবই দুঃখজনক দেশের অনেক কমিটিতে এ ধরনের ফ্যাসিবাদী
লোকজন অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। জয়পুরহাটের আওয়ামী লীগ নেতা ও জেলা পরিষদের
সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম খাজা শামছুল আলমের ছেলে খাজা আল-আমিন
সোহাগ তাঁর মন্তব্যে লিখেছেন, ্#৩৯;উনি নৌকার মাঝি নয়, উনি স্বপন
সাহেবের (সাবেক হুইপ ও জয়পুরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য)
ব্যক্তিগত হ্যান্ডস।

এ পোস্ট বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষকদলের কেন্দ্রীয় নেতা সিরাজুল ইসলাম
বিদ্যুৎ বলেন, আমি সত্য একটি ঘটনা জেলা কমিটিকে দৃষ্টি
আকর্ষণের জন্য পোস্ট করে জেলা কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। নুরনবী
আওয়ামী লীগ করতেন। সেটা কালাইয়ের বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীই
জানেন।

এই বিষয়ে নুরনবীর সরকার মুঠোফোনে জানান, ওই কমিটির বিষয়ে
তিনি কিছুই জানেননা। তিনি একটি দরবারে (শালিসি বৈঠকে)
আছেন। এ বিষয়ে সাক্ষাতে কথা হবে- বলে মুঠোফোনের সংযোগ কেটে
দেন।

জয়পুরহাট জেলা কৃষকদলের সদস্যসচিব কাজী মনজুরে মওলা পলাশ জানান,
বিদ্যুৎ ভাই তথ্য কোথায় পেলেন, সেটি তাঁদের জানা নেই। নুরনবী
বিএনপি করতেন। জেনে শুনেই তাঁর নাম দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে
(সাংবাদিকেরা) খোঁজ নেন। বিদ্যুৎ ভাই যাকে উল্লেখ করেছেন, সেই
নুরনবী আর কমিটির নুরনবী আলাদা ব্যক্তি। সেখানে দুজন নুরনবী আছেন।
কমিটিতে যে নুরনবী আছেন, তিনি কি ইউপি সদস্য এমন প্রশ্নে

তিনি জানান, ওই নুরনবী ইউপি সদস্য নয়। তাহলে অনুমোদিত তালিকায়
ইউপি সদস্য নুরনবীর মুঠোফোন নম্বর কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী
মনজুরে মওলা পলাশ জানান, ওটা একটা মিস্টেক। যেভাবেই হোক, ওটা ভুলই
হয়েছে।

শেয়ার করুন

আরো খবর দেখুন
© All rights reserved © Daily Bogra Times/2025
Theme Customized BY LatestNews