কেউ নির্বাচনে অংশ না নিলে সেটা কার দোষ: ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কম্বোডিয়ায় বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি বলে তাদের নাকি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এখানেও যদি কেউ নির্বাচনে অংশ না নেয় সেটা কার দোষ?
মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, যাদের এতদিন মুখ চোখ শুকিয়ে গিয়েছিল এখন কম্বোডিয়ার খবর শুনে আবার গলায় পানি এসেছে। ফখরুলের গলায় অনেক পানি। দেখতে মনে হয় ভালো মানুষ, অথচ মুখে এতো বিষ! কি বাজে ভাষায় বক্তৃতা করে!সংঘাতের উদ্দেশ্যে আগামী ২৭ জুলাই একই দিনে আওয়ামী লীগের তিন অঙ্গসংগঠন সমাবেশ ডেকেছে বলে মির্জা ফখরুলের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, আমরা শোকের মাসের কর্মসূচি দিলেও বিএনপি ও তাদের দোসররা তো বলেই, কিছু মিডিয়াও বলে পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচি। ২৪ থেকে ২৭, ২৭ থেকে ৩০ জুলাই- এটা আমাদের সুবিধা। কোথায় পাল্টাপাল্টি?
যাদের সামর্থ্য নাই তারাই সংঘাত করে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংঘাত তারাই করে যারা দুর্বল। আমরা সংঘাত করতে যাবো কেন? বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার উন্নয়নের সঙ্গী। কিছু দুঃখ কষ্ট আছে দ্রব্যমূল্যের কারণে। এর পরেও জনগণ শেখ হাসিনার সততা, পরিশ্রমের প্রতি শতভাগ আস্থা রেখেছে। এটাই হলো বাস্তবতা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিসহ সব শক্তিকে নিয়ে আগামী নির্বাচনে বিজয়ের লক্ষ্য অভিযাত্রা করব। আর ছাড় নয়, পাকিস্তানের বন্ধুদের হাতে এই দেশ ছেড়ে দিব না, তাদের হাতে দেশ, গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ, উন্নয়ন কিছুই নিরাপদ নয়।
দলের নেতাকর্মীদের সক্রিয় এবং সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সতর্ক থাকবে কেউ সংঘাত করতে আসলে প্রতিহত করা হবে। বিএনপি খালি মাঠ পেলে সংঘাত করতে চাইবে। আমরা সেই সুযোগ দেব না। বিএনপি জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী নয়; অস্ত্র শক্তিতে বিশ্বাসী।
তিনি আরও বলেন, তারা খালি মাঠ পেলে সংঘাত করবে, এটা সবাই জানে। সেই প্রস্তুতি তারা নিচ্ছে। সীমান্তের এপার থেকে খবর পাচ্ছি, তারা অস্ত্র কিনছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ তাদের একটা অস্ত্র সরবরাহ ঘাঁটি। বিভিন্নভাবে খবর আসছে। কারণ তারা মনে করে জনশক্তি কোনো শক্তি নয়, অস্ত্র শক্তি হচ্ছে আসল শক্তি।
তিনি বলেন, আমরা অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ একটা নির্বাচন করবো। এটা জাতীর কাছে আমাদের প্রতিশ্রুতি। এখন বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা স্বাধীন। এই নির্বাচন ব্যবস্থায় কারচুপি, জালিয়াতির কোন সুযোগ নেই।
তবে নেতাকর্মীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন থেকে আমাদের আর নিষ্ক্রিয় থাকার কোন সুযোগ নেই। নির্বাচন পর্যন্ত সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে, কারো সঙ্গে আপোষ নেই। মাঠে থাকবো, কেউ সংঘাত করতে এলে তা প্রতিরোধ করা হবে। সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।
এসময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ফারুক খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মহিউদ্দিন জালাল, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল চৌধুরী, সুজিত রায় নন্দী, মির্জা আজম, আহমদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।