মূল্য কমানোর ব্যাপারে খামারের মালিক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দাম কমানোর কারণ হলো মাংসের বাজারদরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখা। যাতে করে কোরবানির গরু কিনতে এসে একজন ক্রেতা না ঠকে। আর কোরবানির মাংসে গরিবের কিন্তু একটা হক থাকে। এটা কিন্তু আমরা বিক্রেতা বা ক্রেতা কেউ হিসাব করি না। সেটি মাথায় রেখে আমরা হিসাব করলাম ৫০০ টাকা কেজি দরে গরু বিক্রি করলে গরুর ভুরি চামড়াসহ উচ্ছিষ্ট অংশ বাদ দিলে মাংশ কেজিপ্রতি ৮০০ টাকা পড়ে যায়। আর সাড়ে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলে ৭১০ টাকা থেকে ৭১৫ টাকার মধ্যে কেজিতে মাংসের দাম পড়ে।
তিনি আরো বলেন, এ পদ্ধতিতে কোরবানির গরু বিক্রিতে প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। এ পর্যন্ত ১২টি গরু বিক্রির বুকিং পেয়েছি।
খামারের মালিক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মুনাফার আশায় নয় অনেকটা সেবার মানসিকতা নিয়ে গত ৩ বছর ধরে এ পদ্ধতিতে কোরবানির গরু বিক্রয় করছি। আমার লাভ হচ্ছে সারা বছর অল্প অল্প বিনিয়োগ করে বিক্রয়কৃত কোরবানির গরু থেকে লাভ না করেও একসঙ্গে বিনিয়োগকৃত টাকাগুলো বের করতে পারি। মাংস ব্যবসায়ীদের জন্য এ পদ্ধতি প্রযোজ্য নয়। শুধুমাত্র যারা কোরবানি দিতে ইচ্ছুক সেইসব ক্রেতাদের জন্য কেজি দরে গরু বিক্রি করে থাকি।
জানা গেছে, খামারের মালিক মোস্তাফিজুর রহমান গত এপ্রিল থেকে নগরীর আড়ংঘাটা থানাধীন তেলিগাতী দক্ষিণপাড়ায় অবস্থিত তার ফাইজার নামে গরুর খামারে কেজিপ্রতি ৫০০ টাকা দরে কোরবানির গরু বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেন।
মিলবে যেসব সুবিধা:
কেজিতে কোরবানির গরু কিনলে ক্রেতাকে প্রথমে নগদ ৩০ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে তার পছন্দের কোরবানির গরু ক্রয়ের বুকিং দিতে হবে। বুকিংকৃত পশুর যাবতীয় দায়ভার খামারের মালিক বহন করবেন। বুকিং দিয়ে একজন ক্রেতাকে গরু ক্রয় নিশ্চিত করতে হবে। বুকিং দেওয়ার পর কোরবানির ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত খামারে গরু রাখার নিশ্চয়তা রয়েছে।
ক্রেতার ইচ্ছানুযায়ী যেকোনো দিন ডিজিটাল ব্রিজ স্কেলে গরু ওজন দিয়ে সাড়ে ৪০০ টাকা কেজি দরে মূল্য পরিশোধ করার পর ক্রেতা কোরবানির উদ্দেশ্যে তার গরু নিয়ে যেতে পারবেন। বুকিংকৃত গরু ক্রেতা ঈদের ২-১ দিন আগে অথবা ঈদের দিন সকালে খামার থেকে নিয়ে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাকে কোনো বাড়তি খরচ বহন করতে হবে না।
খুলনা মেট্রোপলিটনের ভেতর নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে নিজ খরচে খামারের মালিক গরু পৌঁছে দেবেন। এছাড়াও কোনো কারণে বুকিংকৃত গরুর কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সেক্ষেত্রে ক্রেতা তার বুকিংকৃত সম্পূর্ণ টাকা ফেরত পাওয়ার শতভাগ নিশ্চয়তা রয়েছে। গত তিন বছর ধরে খামারটিতে এ পদ্ধতিতে কোরবানির গরু বিক্রি হচ্ছে। এ বছর এরইমধ্যে বুকিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে।