নজরুল ইসলাম,জেলা প্রতিনিধি: অবৈধ পিস্তলের ছোড়া গুলির পৃথক দুটি মামলায় মেডিকেলের শিক্ষক ডা.রায়হান শরিফকে সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। বর্তমান তাকে কারাগারের আমদানি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। সেখানে প্রয়োজন ছাড়া কারও সঙ্গে তেমন একটা কথাবার্তা বলছেন না। সাধারণ বন্দীদের জন্য যে খাবার বরাদ্দ রয়েছে তিনি সেই খাবারই খাচ্ছেন।
এদিকে গতকাল বুধবার (৬ মার্চ) সকালে জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. বেলাল হোসেনের আদালতে অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় ডা. রায়হানের বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপপরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন। সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার মোহাম্মদ ইউনুস জামান বলেন, প্রতিদিন নতুন যে আসামি কারাগারে আসেন প্রথমে তাদের আমদানি ওয়ার্ডে রাখা হয়। সেখানে তিন-চার দিন রাখার পর অন্যান্য ওয়ার্ডে পাঠানো হয়।
কারাগারে আসার পর থেকে তিনি স্বাভাবিক আছেন। নতুন জায়গা, নতুন পরিবেশ মানিয়ে নিতে সময় লাগবে। তিনি ভালো আছেন, কোনো সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৪ মার্চ বিকেলে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক রায়হান শরীফ শ্রেণিকক্ষের ভেতরেই কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করেন।
এ সময় পড়ে থাকা একটি পিস্তল উদ্ধার করে পুলিশ। এ ছাড়া তাঁর ব্যাগটিও জব্দ করা হয়। ব্যাগের ভেতরে আরও একটি পিস্তল, ৮১ রাউন্ড গুলি, চারটি ম্যাগাজিন, দুটি বিদেশি কাতানা (ছোরা) ও ১০টি অত্যাধুনিক বার্মিজ চাকু জব্দ করা হয়।
এসব অবৈধ অস্ত্র রাখার অপরাধে গত মঙ্গলবার পুলিশ বাদী হয়ে রায়হানের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা করে। এ ছাড়া আহত শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালের বাবা আব্দুল্লাহ আল আমিন বাদী হয়ে তাঁর ছেলেকে হত্যা চেষ্টা অভিযোগ এনে আরেকটি মামলা করেন। দুটি মামলায় শিক্ষক রায়হান শরীফ আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠায় আদালত।