1. dailybogratimes@gmail.com : dailybogratimes. :
কোটাবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে যা বলল বিএনপিপন্থি ২২ পেশাজীবী সংগঠন » Daily Bogra Times বগুড়া টাইমস
Logo শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
দাম নিয়ন্ত্রণে ডিম ও ভোজ্যতেলে শুল্ক-কর অব্যাহতি স্বৈরাচার ফ্যাসিস্টদের প্রেতাত্মারা এখনও সমাজে রয়েছে রিজভী পাঁচবিবিতে দাফনের ২ মাস পর কবর থেকে বিশালের লাশ উত্তোলন ছেলে হত্যার বিচার চায় পরিবার কানাডার সার্বভৌমত্ব লংঘন করেছে ভারত, বিষয়টি স্পষ্ট : ট্রুডো চাঁপাইনবাবগঞ্জে শাহীন আলম নামে সাংবাদিকে হত্যার হুমকি সারিয়াকান্দিতে বজ্রপাতে একজন নিহত, আহত ২ ৪৬ রানে অলআউট, নিউজিল্যান্ড লজ্জায় ভারত রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগের অংশ হিসেবে আরও ৪ সংস্কার কমিশন ৪৩, ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএস বাতিলের দাবি বিএনপির পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীদের কমপ্লিট ‘শাটডাউনের’ আলটিমেটাম পানিসংকটে ঝুঁকিতে পড়বে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি খাদ্য উৎপাদন উল্লাপাড়ায় বাস কেরে নিলো দুই মোটরসাইকেল আরোহীর প্রান মিরপুর টেস্ট খেলতে দেশে আসবেন না সাকিব : ক্রীড়া উপদেষ্টা বিশ্ব গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঁচবিবিতে ছাত্র শিবিরের অফিস উদ্বোধন 

কোটাবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে যা বলল বিএনপিপন্থি ২২ পেশাজীবী সংগঠন

নিউজ ডেস্কঃ-
  • বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪
কোটাবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে যা বলল বিএনপিপন্থি ২২ পেশাজীবী সংগঠন
print news

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের একদফা দাবিতে আন্দোলনকারী ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলা ও হত্যাকাণ্ডের’ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বিএনপিপন্থি বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদসহ ২২টি পেশাজীবী সংগঠন

বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে পেশাজীবী নেতারা চলমান ‘ছাত্র আন্দোলনে’ সমর্থন জানিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ‘হত্যা, তাদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি, কোটা বাতিলের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া এবং শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা ও নাতি-পুতি বলে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য’ প্রত্যাহারের দাবি জানান।

বিবৃতিতে পেশাজীবী নেতারা বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের দাবিকে অত্যন্ত যৌক্তিক বলে মনে করি।আমরা মনে করি, কোটা কখনো, মেধার বিকল্প হতে পারে না। এ কোটার কারণে প্রতিভাবান অনেক
চাকরিপ্রার্থী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন।কোটা ব্যবস্থার বিলোপ হলে সব প্রার্থীর মধ্যে যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এতে করে মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থীরা তাদের প্রকৃত প্রতিভার স্বীকৃতি পাবেন এবং যোগ্য প্রার্থীদের মাধ্যমে সরকারি খাতে দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব বৃদ্ধি পাবে।’

তারা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক হওয়া সত্ত্বেও তাদের দাবি না মেনে বল প্রয়োগের পথ বেছে নিয়েছে সরকার।আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের
ছাত্রছাত্রীদের ওপর নির্বিচার হামলা চালানো হয়েছে। সরকারি ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পিস্তল, রড, লাঠি, হকিস্টিক, ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। নির্বিচার হামলায় নারী শিক্ষার্থীরাও রেহাই পায়নি।
বিশেষ করে গতকাল (মঙ্গলবার) ছাত্রলীগ ও পুলিশ যৌথভাবে দেশের বিভিন্নস্থানে অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলে পড়ে। আমাদের সন্তান সমতূল্য কোমলমতি অসংখ্য শিক্ষার্থীকে রক্তাক্ত করতে দেখেছি। তাদের শরীর বেয়ে ঝরছিল রক্ত।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের লাশ পড়ে থাকতে দেখেছি রাস্তায়।শিক্ষার্থীদের রক্তে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরের পিচঢালা কালো রাস্তা লালে লাল হয়ে যায়।যা একাত্তরের পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরতাকে স্মরণ করিয়ে দেয়।নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে ৬ জন টকবগে ছাত্র-যুবককে। এই বর্বরোচিত হামলায় আমরা শুধু উদ্বিগ্নই নই, ক্ষুব্ধ ও বেদনার্তও।জাতির কাঁধে ছাত্রের লাশ- এরচেয়ে বেদনার খবর আর কী হতে পারে?’

তারা বলেন, ‘আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, পুলিশের সামনে সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করছে; আর তারা নীরব দর্শকের মতো তাকিয়ে থাকল। কোথাও কোথাও পুলিশ আর সরকারি দলের ক্যাডাররা যৌথভাবে ছাত্রদের ওপর হামলা চালিয়েছে। শুধু তাই নয়, আহত ও রক্তাক্ত ছাত্ররা যখন কাতরাচ্ছে তাদের হসপিটালে নেওয়ার ব্যবস্থা পর্যন্ত পুলিশ করেনি। এমনকি আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে বাধা দেওয়া হয়।

হামলায় আহত শিক্ষার্থীরা চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে জরুরি বিভাগে থাকা অবস্থায় তাদের ওপর আবারও হামলা চালানো হয়েছে, যা মানবতাবিরোধী অপরাধের সমতুল্য। আমরা এসব হামলার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও উপযুক্ত শাস্তি চাই।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই হত্যাকাণ্ডের দায় সরকার কিছুতেই এড়াতে পারে না। কারণ প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও ছাত্রলীগ নেতাদের উসকানিমূলক বক্তব্য ছাত্রদের বিক্ষুব্ধ করে তোলে।’

পেশাজীবী নেতারা বলেন, ‘সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের আসকারা পেয়ে ছাত্রলীগ মঙ্গলবার ছাত্র হত্যার উন্মত্ততায় মেতে উঠে। পাকিস্তানের স্বৈরাচারী সরকারের মতো আওয়ামী লীগ সরকার আলোচনার পথকে ছুঁড়ে ফেলে রক্তই বেছে নিল।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুধু শিক্ষার্থীদেরই বিক্ষুব্ধ করেনি, তাদের অভিভাবকদেরও ক্ষুব্দ করেছে। তাই আমরা প্রধানমন্ত্রীকে তার এই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন- বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব সভাপতি
অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ ও মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালাম, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ইউট্যাব সভাপতি প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সাদা দলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান ও যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান, অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-এ্যাব সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু ও মহাসচিব আলমগীর হাছিন আহমেদ, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এ্যাব সভাপতি কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন ও মহাসচিব প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. জাকির হোসেন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার ও সমন্বয়কারী প্রফেসর ডা. শফিকুল হায়দার পারভেজ, জিয়া পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুস ও মহাসচিব প্রফেসর ড. মো. এমতাজ হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. নুরুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোট সভাপতি আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল ও মহাসচিব মো. রফিকুল ইসলাম, এমবিএ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ম্যাব সভাপতি সৈয়দ আলমগীর ও মহাসচিব শাকিল ওয়াহেদ, জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-জেটেব আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল আলম ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার এবিএম রুহুল আমীন আকন্দ, ডিপোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিইএব)

সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সাইফুজ্জামান সান্টু ও মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ন্যাব) সভাপতি জাহানারা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক সুজন মিয়া, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এম-ট্যাব) সভাপতি একেএম মুসা (লিটন) ও মহাসচিব মো. বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, ইউনানী আয়ুর্বেদিক গ্র্যাজুয়েট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আগড্যাব) সভাপতি ডা. মির্জা লুৎফর রহমান লিটন ও মহাসচিব ডা. আমিনুল বারী কানন, ডিপ্লোমা এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডি-এ্যাব) সভাপতি মো. জিয়াউল হায়দার পলাশ ও মহাসচিব সৈয়দ জাহিদ হোসেন, ফিজিওথেরাপিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (প্যাব) সভাপতি মো. কামরুজ্জামান কল্লোল ও সাধারণ সম্পাদক মো. তানভীরুল আলম।

AH/ Daily Bogra Times

আরো খবর
dbt
© All rights reserved by Daily Bogra Times  © 2023
Theme Customized BY LatestNews