ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে সরকার অস্থিরতায় ভুগছে - সালাম।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেছেন, সরকার দেশের জনগণকে ভয় না পেলেও বহিঃবিশ্বকে ভয় পায়। স্যাংশনের ভয়ে, ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে সরকার অস্থিরতায় ভুগছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার জনগণের দাবি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আত্মচিৎকার আমলে নেননি। কারণ, তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। কিন্তু যখন দেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে বহিঃবিশ্ব চাপ দিচ্ছে তখন সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।রবিবার বিকেলে রাজধানীর গোপীবাগে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আব্দুস সালাম।
এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সালাম বলেন, সরকার জনগণের কষ্ট নিয়ে তামাশা করছে। বিদ্যুৎ নেই, ডলার সংকট, ব্যাংকে টাকা নেই। ঘোষিত বাজেটের ৪২ শতাংশই ভুর্তকি। তারপরও সরকারের দাম্ভিকতা কমে না।
তিনি বলেন, এ সরকারের ১৪টি বছর কেটেছে শুধু লুটপাট আর বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন-পীড়ন করে। এরা যে সময় বিএনপিকে দমন করতে ব্যয় করেছে সে সময় যদি দেশের জন্য জন্য ব্যয় করতো তাহলে জাতির অনন্ত উপকার হতো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই বিরোধী দল-মতকে নির্মূলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। কারণ, বিরোধী দল ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকলে তারা লুটপাট করতে পারবে না।
সভাপতির বক্তব্যে ইশরাক হোসেন বলেন, দেশবাসী শপথ নিয়েছে যতদিন জনগণ ভোটের অধিকার ফিরে পাবে না, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে না ততদিন আমরা রাজপথ ছাড়ব না। বিএনপি অন্ধকার পথে ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। বিএনপি সবসময় অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে।
তিনি বলেন, এই অত্যাচারী স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আজ গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এ সরকার দেশটাকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। যারা দেশ ধ্বংসকারী এই আওয়ামী লীগকে সমর্থন করবে এবং আন্দোলন নসাৎ-এর চক্রান্তে লিপ্ত হবে বাংলার মাটিতে সেসব দালালদের বিচার হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, ইউনূস মৃধা, মোহাম্মদ মোহন, আবদুস সাত্তার, মহানগর নেতা ফরিদ উদ্দিন, মকবুল ইসলাম খান টিপু, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মীর হোসেন মিরু, গোলাম মোস্তফা সাগর, ওমর নবী বাবু, হাজী মো. নাজিম, পাভেল সিকদার প্রমুখ।