ক্ষেতলালে মাদ্রাসার ম্যানিজিং কমিটি থেকে পদত্যাগ ।
ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার শালবন রহমানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার এক শীর্ষকর্তার সঙ্গে মনোমালিন্য চরমে পৌঁছায় সাধারন সম্পাদকের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন ইলিয়াছ হোসেন।
সাধারন সম্পাদক পদ নিয়ে নাকি মতবিরোধ তৈরি হয়েছে দুই কর্তার মধ্যে।
এ কারনে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন তিনি।
২০১৯ সালের মে মাস থেকে অদ্যবধি শালবন রহমানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রসার সাধারন সম্পাদক পদের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। দীর্ঘ চার বছর পার হওয়ার আগেই হঠাৎ করেই শালবন রহমানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার সাধারন সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দিলেন ইলিয়াছ হোসেন।
শুক্রবার (২১জুলাই) সকাল ১০ টায় মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে নিজের পদত্যাগ বিষয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইলিয়াছ হোসেন।
তিনি জানান,ব্যক্তিগত কারণে সাধারন সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে যাচ্ছি।
গত কয়েক বছর থেকে যেভাবে চলছিল, আশা করছি সেই ভাবেই মাদ্রাসার উন্নয়ন এগিয়ে যাবে।
এই কমিটি গঠনের সময় সমর্থকদের সাথে আমি যে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম
তার বেশির ভাগই পূরণ করা হয়েছে। কমিটির সদস্য, সমর্থকদের থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছি তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।
আমি সারাজীবন শালবন রহমানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার সমর্থক থাকব। আমার গ্রামের প্রতিষ্ঠান আজীবন শ্রম দিয়ে যাবো৷
তবে হঠাৎ করেই তাঁর এভাবে সরে যাওয়া নিয়ে জল্পনা—কল্পনা তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, মাদ্রাসার এক শীর্ষ কর্তার সঙ্গে মনোমালিন্য চরমে পৌঁছানোয় তিনি সরে দাঁড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নেয়।
এ বিষয়ে মতবিরোধ হয়েছে দুই কর্তার মধ্যে। আর তাতেই নাকি এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন ইলিয়াছ হোসেন। অনেকেই বলছেন, এই পদত্যাগের পিছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ থাকতে পারে।
তবে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যর মধ্যে কামরুল, কালাম, দেলোয়ার,সহ গ্রামবাসী আরোও অনেকেই বলছেন, ইলিয়াছ এই মাদ্রাসার দ্বায়িত্ব পেয়ে এতিম বাচ্চাদের বাহিরে মাদ্রাসার জন্য কোনো আদায় করতে হয়নি।
যে কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এতিম বাচ্চাদের নতুন জামাকাপড় ও খাবার পরিবেশন সহ সবকিছু দেখভাল করে আসছেন তিনি।হঠাৎ আজ ইলিয়াছ ভাই এই দ্বায়িত্ব থেকে কেন সরে গেলেন আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিনা। এ বিষয়ে ওই মাদ্রাসার সভাপতি বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী সরদার জানিয়েছেন,সে কেনো পদত্যাগ করলেন এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।