খুলনায় কোরবানির পশু চাহিদার চেয়ে সাড়ে ৩ লাখ বেশি।
খুলনায় শুরু হয়েছে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানিরপশুর হাট বসানো ও বেচাকেনার প্রস্তুতি। এবারের ঈদে খুলনা বিভাগে চাহিদার তুলনায় সাড়ে ৩ লাখেরও বেশি কোরবানি যোগ্য পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে।
যার কারণে কোরবানির পশুর সংকট হওয়ার কোনো সম্ভবনা নেই বলে খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় প্রায় ৮লাখ ২৮ হাজার ৯৯৮টি পশু কোরবানির সম্ভাবনা রয়েছে। খামারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে এই বিভাগে ১১ লাখ ৮২ হাজার ৯৯৮টি কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। যার মধ্যে ষাঁড় ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৫৭ টি, বলদ ৪৪ হাজার ২৮৮ টি, গাভী ৬৩ হাজার ১৯২ টি, মহিষ ৫ হাজার ৫৬ টি, ছাগল ৬ লাখ ৯৭ হাজার ৮২৩ টি, ভেড়া ২৮ হাজার ৯৫৭ টি।
ফলে কোরবানির পশুর জন্য কারও মুখাপেক্ষী হতে হবে না। বরং অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে আরও ৩ লাখ ৫৪ হাজার পশু দেশের অন্য বিভাগে পাঠানো হবে।
খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ডা. মো. লুৎফর রহমান বলেন, খামারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে এ বিভাগে এবার ১১ লাখ ৮৩ হাজার গবাদিপশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যদিও পশুর চাহিদা রয়েছে ৮ লাখ ২৯ হাজার। ফলে উদ্বৃত্ত রয়েছে ৩ লাখ ৫৪ হাজারের মতো।
মোট কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে খুলনায় প্রায় ৯২ হাজার ৪০০টি, বাগেরহাটে প্রায় ১ লাখ ২ হাজার ৩০০টি, সাতক্ষীরায় প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার, যশোরে প্রায় ৮০ হাজার ১০০টি, ঝিনাইদহ জেলায় ২ লাখ ৫ হাজার, মাগুরায় ২৬ হাজার ৮৫০টি, নড়াইলে ৫৪ হাজার ৯০০টি, কুষ্টিয়ায় ১ লাখ ৭৭ হাজার ৭৫০টি, চুয়াডাঙ্গায় ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৫০টি, মেহেরপুরে ১ লাখ ৯০ হাজার ৫০০টি গবাদি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
খুলনার ডুমুরিয়ার গুটুদিয়ার খামারি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের খামারে প্রায় ৫০টি গরু রয়েছে। যার মধ্যে ১০-১৫টি কোরবানিযোগ্য ষাঁড়। আকার ভেদে যার দাম ১ থেকে ৩ লাখ টাকা।
পাইকগাছার চাঁদখালি গ্রামের খোকন সরদার জানান, তার খামারে নানা আকারের ৫৫-৬০টি কোরবানিযোগ্য গরু রয়েছে।
শাহপুর হাটে আসা কাবির হোসেন নামের এক ব্যাপারী বলেন, এবার গরুর দাম যে কোনো বছরের চেয়ে বেশি। যে কারণে গরু কিনে ব্যবসা করা খুবই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে নগরের জোড়াগেট এলাকায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) কোরবানির পশুর হাট বসবে ২২ জুন থেকে। এই হাট বিরতিহীনভাবে ঈদ-উল-আজহার দিন সকাল পর্যন্ত চলবে। এটি খুলনা বিভাগের সবচেয়ে বড় পশুর হাট।