ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের চার বিভাগের ওপর দিয়ে পাঁচ দিন ধরে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বইয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এসব এলাকায় আজ শনিবারও তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বইয়ে যাওয়া এলাকায় সতর্কবার্তা বা হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে আগামীকাল রোববার থেকে তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
গতকাল শুক্রবার অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেনের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জারি করা সতর্কবার্তায় বলা হয়, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চলমান তাপপ্রবাহ পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টাও অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, ৭ এপ্রিল রোববার থেকে তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় রাজশাহী, ঢাকা, সিলেটে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। তবে সামগ্রিকভাবে আগামী পাঁচ দিন বা ১২০ ঘণ্টা দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে, ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে, ১৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল, ফরিদপুর; রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী; পাবনার ঈশ্বরদী; নওগাঁর বদলগাছি; বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বইয়ে গেছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা; খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ওপর দিয়েও বইছে একই মাত্রার তাপপ্রবাহ।
তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়। ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা থাকলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। অতি তীব্র বলা হয় ৪২ ডিগ্রি বা এর বেশি হলে।
সতর্কতা: এই তীব্র গরমে ঢিলেঢালা হালকা রঙের সুতি কাপড় পরার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতেও নিষেধ করা হয়; বাইরে বের হওয়ার সময় ছাতা ব্যবহারেরও পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়া বেশি বেশি পানি পান করতে হবে, দিনে একজন নারীকে দুই থেকে আড়াই লিটার এবং পুরুষদের আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে। এই রমজানে ইফতারের পর থেকে সাহ্রি পর্যন্ত সময়ে এই পরিমাণ পানি পান করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। বাইরে থেকে বাসায় এসে সঙ্গে সঙ্গে গোসল না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করা থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে।