মাসুদ রানা, গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা সদরে প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে আইনগত সহায়তা প্রদান কর্মসূচির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘‘বিনা খরচে নিন আইনী সহায়তা বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে এই নিশ্চয়তা” এই বিষয়কে ধারণ করে প্রশিকার প্রধান নির্বাহী জনাব সিরাজুল ইসলামের পৃষ্টপোষকতায় প্রশিকার আইনী সহায়তা কর্মসূচির আওতায় আজ (বুধবার)১৩ নভেম্বর ২০২৪ইং তারিখ বিকাল ৪.০০ ঘটিকায় প্রশিকা গাইবান্ধা সদর উন্নয়ন এলাকার স্থানীয় প্রায় দুই শতাধিক নারী-পুরুষ নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে মতবিনিময় সভা।
সরকারী খরচে ও সহজে আইনী সহায়তা পাওয়া যায় মানুষকে এই বিষয়টি অবহিত করার জন্য প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র বাংলাদেশের সমগ্র জেলায় প্রশিকার বিভিন্ন শাখা অফিসের মাধ্যমে এই কার্যক্রমটি পরিচালিত হয়ে আসছে । উল্লেখ্য প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র ১৯৭৬ সাল থেকে দরিদ্র মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি অনেকগুলো সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আইনগত সহায়তা প্রদান, নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন, মাদকমুক্ত যুব সমাজ গঠন, স্মার্ট হেলথ কেয়ার, সামাজিক বনায়ন,প্রশিকা বিদ্যা নিকেতন, টেইলারিং এন্ড ড্রেস মেকিং, সুয়িং মেশিন অপারেশন, মোবাইল সার্ভিসিং, আইটি প্রশিক্ষণ, বিহেভিয়ার চেঞ্জ, মৌচাষ সহ ইত্যাদি।
গাইবান্ধা উন্নয়ন এলাকার এলাকা ব্যবস্থাপক জনাব, মোঃ রিপন খানের সঞ্চালনায় এই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে মূল্যবান বক্তব্য দেন জনাব মোঃ কুদরাত-ই-খোদা, বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ,গাইবান্ধা। বিশেষ অতিথি হিসেবে মূল্যবান বক্তব্য দেন জনাব মোছাঃ মাসুমা খানম যুথি-জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার এবং বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ,গাইবান্ধা, আরেক বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জনাব মোঃ কামরুজ্জামান ছামাদ উপ-পরিচালক প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন এ্যাড. জনাব মোঃ আনিছুর রহমান কাজল-পরিচালক, প্রশিকা আইনী সহায়তা কর্মসূচি। সহযোগী আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন জনাব শাহানাজ পারভীন- সমন্বয়ক, প্রশিকা আইনী সহায়তা কর্মসূচি। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন গাইবান্ধা জোনের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক জনাব আনন্দ মোহন । এই কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে অধিকাংশ জনগণ বলেন বিষয়টি আমারা অবগত ছিলাম না বিষয়টি জানলাম এবং অন্যদেরও জানাবো। অনেক অস্বচ্ছল লোক আছে যারা টাকার অভাবে তাদের আইনগত ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে,যেহেতু সরকার এই সুবিধাটা দিচ্ছে তাই আমরা এই সুবিধাটা গ্রহণ করবো। আমরা প্রশিকা ও বাংলাদেশ সরকার কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই ধরণের কর্মসূচি হাতে নেয়ার জন্য। উপস্থিত ছিলেন শাখা ব্যবস্থাপক সুরেশ চন্দ্র, জেসমিন, এ.কে.এম ফারুক,সাইফুল,আলতাফ,মোশারফ, সুজন,ফজলুল করিম, নয়ন চন্দ্র। সহযোগীতায় ছিলেন গাইবান্ধা উন্নয়ন এলাকার সকল স্তরের কর্মী ভাই ও বোনেরা।