মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে অজ্ঞান পাটি ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক
মাসে অজ্ঞান পাটি ও মারপিটে ৬টি ইজিবাইক ছিনতাই করা হয়েছে।
ঘোড়াঘাটে একাধিক ইজিবাইক ছিনতাই হওয়ায় একের পর এক ইজিবাইক চালকরা
আতঙ্কের মধ্যে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে।
জানা গেছে, গত ২০ অক্টোবর (সোমবার) দুপুর সাড়ে ১২ টায় সাজ্জাদ বাবু নামের এক
যুবককে চেতনা নাষক ওষুধ ও স্প্রে করে অজ্ঞান অবস্থায় তার ইজিবাইকটি ছিনতাই করা হয়।
গত ৬ অক্টোবর থেকে প্রায় ১ মাসে ৬টি ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
এর মধ্যে উপজেলার কলেজপাড়া এলাকার আশরাফুল ইসলামের পুত্র হৃদয়ের একটি, শীধলগ্রামের
মোজবাহারের পুত্র আনোয়ার হোসেনের একটি, কলাবাড়ী এলাকা থেকে একটি, উপজেলার
হিলি চার মাথা মোড় থেকে একটি, কুন্দারামপুর শিয়াল ন্যাংড়া এলাকার আবুল কালামের পুত্র
ছাইদুল ইসলামের একটি ও ভর্নাপাড়া এলাকার সায়েদ আলীর পুত্র রায়হান কবীর মিলনকে হত্যা
করে তার ইজিবাইকটি ছিনতাই করে নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
তাকে হত্যা করে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাচেরচড়া
এলাকায়। এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক ঝটিকা অভিযান চালিয়ে
ছিনতাইকৃত ইজিবাইক উদ্ধারসহ ছিনতাইয়ের কাজে জড়িত ৬ ছিনতাইকারীকে
গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়। বর্তমানে ওই ঘটনায় রায়হানের মা আনোয়ারা বেগম
বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
ছিনতাই হওয়া ইজিবাইকের মালিক সাজ্জাদ হোসেন জানান, সে গত ২০ অক্টোবর অনুমান
বেলা সাড়ে ১১ টায় ঘোড়াঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে রানিগঞ্জ বাজারে আসে। সেখান থেকে
সে বাড়ি যাওয়ার পথে কলাবাড়ী নামক স্থানে ২ জন ব্যক্তি তাকে ঘোড়াঘাট হাসপাতালে
রোগী দেখার কথা বলে ইজিবাইক ভাড়া নিয়ে হাসপাতালে আসে।
হাসপাতালের সামনে তারা ইজিবাইক থেকে নেমে হাসপাতালের পাশে দোকান থেকে কথা ও
বিস্কুট নিয়ে এসে কলার মধ্যে চেতনা নাশক ওষধ মিশিয়ে তাকে খাওয়ায়। এসময় সে কলা
খাওয়ার পর জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। ওই ছিনতাইকারীরা সাজ্জাদকে হাসপাতালের বারান্দায় রেখে
ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। এছাড়াও ইতি পূর্বে কয়েকটি ইজিবাইক ছিনতাইয়ের
ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হক জানান, বিষয়টির থানায়
সাধারণ ডাইরি হয়েছে। অসুস্থ ইজিবাইক চালক বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
রয়েছে। আমরা ছিনতাইয়ের ঘটনাটির আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। তৎপরতা ও
অনুসন্ধান চালাচ্ছি। আমাদের তৎপরতা ও অনুসন্ধান অব্যহত রয়েছে। ছিনতাইয়ের সাথে
জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।