চলচিত্র নির্মাতা জহির রায়হানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জহির রায়হান পুত্র অনল রায়হান। তিনি বলেন, যে সময়ে আমরা বাবাকে হারিয়েছি, সে সময় তার হারাবার কথা নয়। পুত্র হিসেবে বাবাকে আমি খুব কমই দেখেছি। তিনি এমন একজন মানুষ যিনি দেশ বিভাগের পর থেকে, শিল্প, সাহিত্য, রাজনীতি, সংস্কৃতির চর্চায় অন্যতম হয়ে উঠতে পেরেছিলেন তারপর যখন মুক্তিযুদ্ধ গেল, মুক্তিযুদ্ধে তার অংশগ্রহণ এবং অবদান; যুদ্ধ শেষে দেশ স্বাধীন হবার পর দেড়টা মাস তার অংশগ্রহণ এবং অবদান, সব মিলিয়ে তিনি ইতিহাসের অন্যতম চরিত্র হয়ে গেছেন।
গ্রাফিক আর্টস ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ নীহার রঞ্জন দাস বলেন, আমরা এই মহান গল্পকার ও উপন্যাসিক, নির্মাতার কাছ থেকে জীবন থেকে নেওয়ার মতো অসাধারণ চলচ্চিত্র পেয়েছি। সেই সময়টিতে এ চলচ্চিত্রটি নিষিদ্ধ করেছিল পাকিস্তান সরকার। প্রতীকীভাবে তিনি পাকিস্তান রাষ্ট্রব্যবস্থার স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে বাঙালির মনোজগতে নাড়া দিয়েছিলেন। আমার প্রতিষ্ঠান গ্রাফিক আর্টস ইনস্টিটিউট সিনেমা টেকনোলজি নিয়ে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। জহির রায়হান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে আমরা স্বল্পমেয়াদি কোর্স চালুর উদ্যোগ নিয়েছি।
চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিক্ষক প্রদীপ ঘোষ বলেন, জহির রায়হান আমাদের কাছে একটি চেতনার নাম। জহির রায়হান ফিল্ম ইনস্টিটিউট সেই চেতনাকে অগ্রসর করার কাজ করে যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করি স্বল্পমেয়াদি কোর্সসমূহে জহির রায়হানের রাজনৈতিক ভাবনার প্রতিফলিত সাহিত্য ও চলচ্চিত্রকে অনুধাবন করার কাজটি শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে।