মোঃ সিফাত রানা চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুস সালামসহ জোড়া খুনের আলোচিত ঘটনায় পুলিশের যৌথ অভিযানে আরও চার জন গ্রেপ্তার হয়েছে। সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই মামলায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ নিয়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল ছয় জনে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- শিবগঞ্জ থানার হরিনগর-স্কুলপাড়া গ্রামের আখতারুজ্জামান ওরফে ফুটু হুজুরের ছেলে উসমান আলী (২১), নামো-সুন্দরপুর গ্রামের মো. আবুল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ বাবুল ওরফে বাবু ঝাপড়া (৪৫), একই এলাকার মৃত কাবির ঝাপড়ার ছেলে মো. রুহুল আমিন ঝাপড়া (৪৫) এবং মোহাম্মদ তাবজুর হোসেনের ছেলে মো. আব্দুল মান্নান (৪২)।
শিবগঞ্জ থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান,চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার মোঃ ছাইদুল হাসান, বিপিএম, পিপিএম মহোদয়ের সার্বিক নির্দেশক্রমে ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, এর নেতৃত্বে এবং গোয়েন্দা তথ্যর ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার-ফোর্স ও শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনার পর থেকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু করে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেলার শিবগঞ্জের নয়ালাভাঙ্গা ও নাচোল উপজেলার ফতেপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বাবুল ঝাপড়া ও রুহুল আমীন ঝাপড়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃত ০১ জন আসামি ঘটনার সাথে নিজেকে জড়িয়ে বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।এর আগে শুক্রবার (২৮ জুন) এজাহার নামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, চাঁপাইনবাবগঞ্জের রানিহাটি কলেজ মোড় গুচ্ছ গ্রামের একটি মাঠে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অতর্কিত হামলায় খুন হন জেলা পরিষদের সদস্য ও নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ. সালাম ও তার সহযোগী আব্দুল মতিন।
হত্যার ঘটনায় আব্দুস সালামের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম বাদী হয়ে ৫২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান শিবগঞ্জ থানার ওসি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন।