নিউজ ডেস্কঃ- বিস্তীর্ণ ক্ষেতে কাজ করছেন চাষি ও শ্রমিকরা। কেউ তরমুজ কাটছেন, কেউ করছেন স্তুপ। আবার কেউ বিক্রির উদ্দেশে ট্রলি কিংবা ট্রাকে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কেউবা তরমুজ ক্ষেত কেনার জন্য দর হাঁকাচ্ছেন।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার বিভিন্ন তরমুজের মাঠে এখন কৃষক ও পাইকারদের আনাগোনা। জানা যায়, রমজানে তরমুজের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। তাই পাইকারদের ভিড়ে স্থানীয় বাজারগুলো একপ্রকার তরমুজ শূন্য। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ১৩২৩ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ধানখালী, বালিয়াতলী ও টিয়াখালী ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি।
সরেজমিন দেখা যায়, খেতের পাশে পাকা তরমুজ কেটে জড়ো করছেন চাষিরা। কিছুক্ষণ পরপর একটি করে ট্রলি আসছে। তরমুজ ট্রলি কিংবা ট্রাকবোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। রসালো এ মৌসুমি ফল কিনতে পাইকাররা বিভিন্ন ক্ষেতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন জানান, কৃষকরা যাতে ন্যায্যমূল্য পান এবং ভোক্তারা সহনীয় দামে তরমুজ কিনতে পারেন সেজন্য ইউএনওর নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, কয়েকজনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। কেজি দরে তরমুজ বিক্রি বন্ধে কৃষি বিভাগ তৎপর।