জয়পুরহাট প্রতিনিধি:- জয়পুরহাট জেলার,কালাই উপজেলার ৪নং উদয়পুর ইউনিয়নের, ৬নাম্বার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি,আমিনুল ইসলাম সোহাগ (৩৫) এর বাম পা কেটে নিয়েছে বিএনপি'র কর্মী ওয়াদুুদ ও তার লোক জন, পূর্ব বিরোধ ও এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও ট্রাক শ্রমিক ফেডারেশনের নিয়ে সংঘর্ষের জেরে সোহাগ মিয়ার পা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে গুরুতর আহতাবস্থায় সোহাগ মিয়াকে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে৷
অভিযুক্তরা হলেন, ওয়াদুদ (৫৫) পিতা মৃত শরাফতওয়ারেজ (৫০) শরাফত মিজু (৩৭) পিতা মৃত আবু বক্কর সিদ্দিক দিপু (৩৬) রফিকুল মুরশেদুল (৩৫) আলিপুর,ক্ষেতলাল,জয়পুরহাট ওহাব (৪৫) শরাফত রিপন (২৮) মহাসিন রাব্বি (২৫) মাহফুজার হুমায়ুন (৩৮) ওয়াদুদ বিল্লাহ (৩০) সাইদুর (৩৮) নুরনবী (৪০) সিরাজুল (৩৫) রজিবুল ইসলাম সাবু (৪৫)
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা য়ায়, পূর্ব বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তার ট্রাক শ্রমিক ফেডারেশনের নিয়ে
স্থানীয় আ’লীগ নেতা ইউপি সদস্য সোহাগ মিয়া ও ওয়াদুদ গ্রুপের সঙ্গে শ্রমিক ইউনিয়ন ফেডারেশন নিয়ে বিরোধ চলছিল। (১৬ই নভেম্বর) শনিবার সন্ধ্যায় সোহাগ মিয়া নুনুজ বাজারে নুনুজ তিন মাথা মোড়ে ওয়াদুদের কাপরের দোকানে সামনে মোটরসাইকেল বেরিগেট দিয়ে এ হামলা করে ।
এ সময় ওয়াদুতের নেতৃত্বে ৭-৮ জন লোক তার ওপর অতর্কিতভাবে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে জনসমক্ষে প্রকাশ্যে সোহাগ মিয়ার ডান পা-টি ভেঙে দেয় এবং বাঁ-পা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে এলাকা ত্যাগ করে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে বিগত কয়েক বছরে ওই এলাকায় উভয়ের দ্বন্দ্বে কয়েকটি হত্যাসহ কয়েক জন মানুষ আহত হয়েছেন।
কালাই থানার ওসি জাহিদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখন পরিবেশ শান্ত রয়েছে।