তাছাড়া বাজারে ভাল দাম পাওয়ায় অনেকেই এখন ভুট্টা চাষে ঝুঁকেছেন। সরকারি সহযোগিতা পেলে এই চাষ আরও সম্প্রসারিত হবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার জামালপুর, তেঘর, আক্কেলপুর উপজেলার জামালগঞ্জ, রুকিন্দীপুর, জিয়াপুরসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে- পোল্ট্রি, মৎস্য ও গো-খাদ্য হিসেবে ভুট্টার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই অধিক লাভের আশায় চলতি মৌসুমে কৃষকরা ব্যাপক পরিমাণ জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে গাছে গাছে ভুট্টার ফুল ও দানা আসতে শুরু করেছে। কেউ কেউ জমিতে সেচ দিচ্ছেন।
কৃষকরা জানায়, এক বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। আর ফলন পাওয়া যায় ৩৫ থেকে ৪০ মণ পর্যন্ত। সেই হিসেবে ১ হাজার টাকা মণ বিক্রি হলে কৃষকদের অনেক লাভ থাকে। এছাড়া জ্বালানি হিসেবে ভুট্টাগাছ ও ছোবড়া বিক্রি করে অতিরিক্ত আয় হয় কৃষকদের। তাই এবারও লাভের আশা করছেন কৃষকরা।
পূর্ব রুকিন্দীপুর গ্রামের কৃষক বেলাল হোসেন বলেন, ভুট্টা অনেক লাভজনক একটি ফসল। আমি এবার ১০ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। বিঘাপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ মণ পর্যন্ত ফলন আসে।
মনোয়ার হোসেন নামে এক কৃষক বলেন, ধান আলুর চেয়ে ভুট্টাতে লাভ বেশি। এক বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। গত বছর এক বিঘাতে ১ হাজার টাকা মণ হিসেবে প্রায় ৪০ হাজার টাকার মতো বিক্রি করেছিলাম। বাজারে ন্যায্য দাম পেলে এবারও লাভবান হতে পারবো।
দাদরা গ্রামের সুলতান মাহমুদ বলেন, জয়পুরহাট জেলায় বেশ কিছু পোল্ট্রি খামার থাকায় ভুট্টার চাহিদা রয়েছে অনেক। ভুট্টা বিক্রির পাশাপাশি জ্বালানি হিসেবে ভুট্টাগাছ ও ছোবড়া বিক্রি করে বাড়তি টাকা পাওয়া যায়। কেউ কেউ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মুজিবুর রহমান জানান, জেলায় এবার ৮৫৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে। বিভিন্ন বেকারী, পোল্ট্রি শিল্প ও ফিসফিড হিসেবে দেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ভুট্টার। এজন্য এ জেলায় এই চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আধুনিক জাতের ও উচ্চ ফলনশীল ভুট্টার সম্প্রসারণ করার জন্য কৃষকদের প্রদর্শনী ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করছি। এতে আগামীতে এর চাষ আরও বাড়বে।