জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ- জয়পুরহাট পাঁচবিবিতে হামদর্দ কোম্পানির নামে ভেজাল (সিনকারা) ঔষধ বিক্রি হতো, অনেক আগে থেকেই। পাঁচবিবি উপজেলা তিন মাথার লাঙ্গলহাটি রাস্তার পশ্চিম পাশে হামদর ল্যাবটরীতে অনেকদিন যাবত নিম্নমান সহকারি হিসেবে কাজ করে আসতেছেন, রনঞ্জুল ইসলাম, পঞ্চগড় বোদা উপজেলার সরদার পাড়ার গ্ৰামের মোঃ হায়দার আলীর ছেলে।
পাঁচবিবি উপজেলার হামদার্দ কোম্পানির যারা মার্কেটিং করে, তারা গত কয়েকদিন পূর্বে জানতে পারে তাদের কোম্পানির নামে কে বা কাহারা রাতের অন্ধকারে, সিনকারা সিরাপটি নকল পেকেট ও সিনকারা ঔষধ টি বাজারজাতকরণ করতেছে। এতে করে মার্কেটিং দের অনেক কথা শুনতে হয় সাধারণ জনগণের কাছ থেকে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে জয়পুরহাট জোনাল ম্যানেজার ও সরকারি পরিচালকের সহযোগিতায়
এই ভেজাল ঔষধ গুলো আটক করতে সার্থক হয়।
গত পহেলা ডিসেম্বর রাত দশটার দিকে হামদার্দ কোম্পানির সরকারি পরিচালক ও জয়পুরহাট জেলার জোনাল ম্যানেজার হাসান ইমাম মোল্লা সহ পাঁচবিবির অফিস পরিচালনা করার পর রঞ্জরুল ইসলামের নামে পাঁচবিবি থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়। এজাহারের ভিত্তিতে ০২/১২/২৪ ইং অদ্য রাত একটাই রঞ্জরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে,১০৮০ পিচ( ৪০০মি,লি)সিনকারা ভেজাল যুক্ত বোতল ও ৭৫০ পিচ (১০০ মিলি) অরিজিনাল খালি বোতল উদ্ধার করেছে পাঁচবিবি থানা পুলিশ।
এই মামলার আয়ু এস আই মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, রনঞ্জুল ইসলাম অনেক দিন ধরে এই অপকর্ম গুলো করে আসতেছিল, ঢাকায় তার এক বন্ধুর কাছ থেকে এই সিনকারা ঔষুধের সিল ও খালি বোতল নিয়ে আসত, পাঁচবিবিতে এনে অরিজিনাল সিনকারা ১০০ মি,লি বোতল খুলে একটি প্রাত্রের মধ্যে রেখে, তার মধ্যে চিনির সিরা মিশিয়ে,৪০০ মি,লি বোতল বাজার জাতকরন করত । এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কোম্পানির স্টক ওষুধ বিক্রির প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে, এবং সে তার হামদর্দ কোম্পানির অফিসের উপরে দোতলাতে বাসা ভাড়া নিয়ে এবং অপকর্ম করত এবং এই নিম্নমান সহকারী রনঞ্জুল ইসলাম।